ফেসবুকে সচেতনতার প্রচার থেকে জরিমানার তথ্য সংরক্ষণ শহরের যানশাসনের কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের অফিসারদের অনেকেই এখনও কম্পিউটারে সড়গড় হয়ে উঠতে পারেননি। এই খামতি মেটাতে এ বার তৎপর হয়েছে লালবাজার। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট থেকে শুরু করে ওসি এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচিও ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এআইটি) সাহায্যে চলতি মাসেই শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির। অফিসারদের তিন দিন ধরে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কম্পিউটারে বিভিন্ন নথি তালিকাভুক্ত করা থেকে শুরু করে ট্রাফিক সংক্রান্ত নানা বিষয়ের পাওয়ার-পয়েন্ট উপস্থাপনা সবই শিখতে হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ২৫টি গার্ডের সব অফিসারকেই ওই প্রশিক্ষণ নিতে হবে দফায় দফায়।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রবীণ অফিসারেরা অনেকেই এত দিন কম্পিউটারের ছায়া মাড়াতেন না। ট্রাফিক গার্ডগুলিতে কনস্টেবল বা এএসআই-রা সারা দিনের বিভিন্ন ট্রাফিক সংক্রান্ত তথ্য সময় মতো তুলতেন কম্পিউটারে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, ট্রাফিক গার্ডগুলি থেকে লালবাজারে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে মাঝেমধ্যেই কিছু ত্রুটি চোখে পড়ছিল। তার পরেই ট্রাফিক গার্ডে কম্পিউটারে সড়গড় পুলিশকর্মী বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এ ছাড়া, অনলাইনে ট্রাফিক জরিমানাও চালু করেছে লালবাজার। বিধিভঙ্গকারী গাড়ির চালকদের জরিমানা সংক্রান্ত তথ্য ট্রাফিক গার্ডগুলি থেকে তাড়াতাড়ি লালবাজারে পাঠালে তবেই অনলাইনে জরিমানা দেওয়া সম্ভব। ট্রাফিক অফিসারদের ওই প্রশিক্ষণের ফলে এই ব্যবস্থা আরও মসৃণ ভাবে চলবে বলে পুলিশকর্তাদের দাবি। তবে শহরের রাজপথে কর্তব্যরত কোনও কোনও সার্জেন্টের অভিমত, যাঁরা সারা দিন রাস্তায় ডিউটি করেন, তাঁদের পক্ষে সব সময়ে কম্পিউটার নাড়াচাড়া সম্ভব হয় না। লালবাজারের কর্তারা অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, আজকের যুগে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারাটা সব পুলিশকর্মীর জন্যই বাধ্যতামূলক। প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে বিভাগের সব স্তরেই বার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা রবিবার বলেন, “আমরা চাই ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট থেকে শুরু করে ওসি এবং এসি-রা সব তথ্য নিজেরা কম্পিউটারে নথিভুক্ত করুন।” পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু ট্রাফিক পুলিশ নয়, কলকাতা পুলিশের অন্য কর্মীদের জন্যও ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। |