শহরের যে সব ফুটপাথ যথেষ্ট চওড়া নয়, সে সব জায়গায় ফোর-জি টেলিকম প্রকল্পের তার বসানো নিয়ে সমস্যায় রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। তাই ওই কাজ করতে কোথাও কোথাও তাঁদের রাস্তায় নামতে হতে পারে বলে পুরসভাকে জানিয়েছে তারা। যদিও রাস্তা খুঁড়ে তার বসানোর পরিকল্পনা না-পসন্দ পুর প্রশাসনের। জট খুলতে সোমবার বৈঠক হল রিলায়্যান্স ও পুরসভার। আপাতত ঠিক হয়েছে, ফুটপাথ ছাড়া যে সব অংশে তার বসাতে রাস্তা খোঁড়া হবে, তা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের পরামর্শ মতো কংক্রিট করে দিতে হবে। তাতে সম্মত হন রিলায়্যান্স কর্তারা। বৈঠকে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং ও রাস্তা বিভাগের দুই মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ও সুশান্ত ঘোষ এবং রিলায়্যান্সের বিজনেস হেড (পূর্বাঞ্চল) তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন। অতীনবাবু জানান, রাস্তা কী ভাবে সারানো হবে আগামী বৃহস্পতিবার আলিপুরে জাজেস কোর্ট রোডে তা পরীক্ষামূলক ভাবে করে দেখাবে রিলায়্যান্স। ফল সম্তোষজনক হলে অনুমোদন দেওয়া হবে।
কলকাতায় ফোর-জি চালুর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পুর প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে রিলায়্যান্স। চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। রিলায়্যান্স জানিয়েছিল এইচ ডি ডি (হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং)-সহ মাইক্রো ট্রেঞ্চিং পদ্ধতির মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ফুটপাথে গর্ত করে তার বসানো হবে। অতীনবাবু জানান, সম্প্রতি ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরের বেশ কিছু এলাকার ফুটপাথ কম চওড়া। সেখানে গর্ত করার জায়গা মিলছে না। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই এ দিন বৈঠক ডাকা হয়।
মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্তবাবু জানান, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে রাস্তা খোঁড়ার পর তা ভাল ভাবে সারানো হয় না। ফলে জল ঢুকে ম্যাস্টিকের রাস্তা খারাপ হয়। তা রুখতেই এ বার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে সব সংস্থাকেই সতর্ক করছে পুর প্রশাসন। অতীনবাবু বলেন, “রাস্তায় গর্ত করা যাবে না। ফুটপাথে গর্ত করার কথা বলা হয়েছে। এবং তা মেনেও নিয়েছে রিলায়্যান্স।” |