বন্ধ হয়ে যাওয়া তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাল্টিপ্লেক্স মার্কেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান পুরসভা। সোমবার পুরসভার বাজেট অধিবেশনের পরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। ওই এলাকাতে থাকার জন্য একটি হোটেল তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাল্টিপ্লেক্সের নিচে থাকবে ভূগর্ভস্থ পাকিং ব্যবস্থা। সমস্ত গাড়িকে সেখানেই রেখে ঢুকতে হবে বিসি রোডে। কিন্তু এর ফলে তিনকোনিয়ার দিক থেকে যাঁরা বিসি রোডে যাবেন তাঁদের প্রায় আধ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বিসি রোডে যেতে হবে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরূপবাবু বলেন, “এই ব্যবস্থা মেনে নিতেই হবে। না হলে বিসি রোডের যানজট কমবে না।” |
চলছে অধিবেশন। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনের বাজেট অধিবেশন শেষে শহরের উন্নতির জন্য আরও কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বরূপবাবু। তিনি জানান, বর্ধমান শহরের ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হবে সিসিটিভি। বর্ধমান স্টেশন থেকে বীরহাটা পর্যন্ত এলাকায় যানজট এড়াতে একটি ফ্লাইওভার তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্ধমান শহরের নানা প্রান্ত থেকে জমা আবর্জনা তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে মেশিন কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। স্বরূপবাবু বলেন, “মার্চের প্রথমে বর্ধমান শহরের শের আফগানের সমাধি থেকে শুরু করে সমস্ত দর্শনীয় স্থান সংস্কার শুরু হবে। তখনই এই সংস্কার সংক্রান্ত খরচ জানানো হবে।” এ ছাড়াও নবাবহাট থেকে আলিশা মৌজা পর্যন্ত ২০০টি ত্রিফলা বাতি লাগানোর কথাও জানান তিনি।
তবে বাজেট অধিবেশন নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য ও ৩১ নম্বরের কাউন্সিলর রত্না দে এ দিন অভিযোগ করেন, “পুরপ্রধান মাত্র কয়েক জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বাজেট তৈরি করেছেন। আলোচনায় সমস্ত কাউন্সিলারদের তাতে ডাকা হয়নি।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার খোকন দাস বলেন, “সমস্ত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ যদি তাতে না যোগ দেন তো কিছু করার নেই।” |