টাটকা খবর
জামশেদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত টাটা কর্তা
নিজের বাংলোর সামনে সশস্ত্র আততায়ীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেন টাটা মোটরসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। পুলিশ জানায়, তাঁর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক’ দুরত্ব থেকে পর পর তিনটি গুলি চালানো হয়। হামলার কিছু ক্ষণ পর গুলিবিদ্ধ ব্রজেশ সহায়কে (৩৮) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। আততায়ীদের খোঁজে জামশেদপুর জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, টাটা মোটরসের ড্রাইভ-লাইন বিভাগের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন ব্রজেশ। শনিবার রাতে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে টেলকোর নীলডিহি কলোনির দলমা রোডে তাঁর বাংলোর ফেরেন। সদর দরজার সামনে গাড়ি থেকে নামতেই সশস্ত্র দুই দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তদন্তকারীদের দাবি, হামলার ছক আগেই কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ব্রজেশ কখন অফিসে যান বা কখন বাড়ি ফেরেন, এ সব কিছুর উপরই নজর রাখা হয়েছিল। ব্রজেশের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও বছর চারেকের ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি।

মহিষাদলে খুন একই পরিবারের ৪ জন
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে কালিকাকুণ্ডু গ্রামে একই পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই পরিবারের গৃহবধূ ঝর্না কুইলাকে রবিবার আটক করেছে মহিষাদল থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত জগন্নাখ কুইলা পলাতক। এ দিন সকালে ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন রমাপ্রসাদ কুইলা (৭৩), তাঁর স্ত্রী নিহারিবালা (৬৩) এবং পরিবারের আত্মীয় কল্পনা (৫৫) ও অরুণ (৩৮) কুইলা। মৃতদেহগুলিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন।

কুইলা পরিবারের বসতবাড়ির
সামনে জড়ো হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জেনেছে, সাত বছরের বিবাহিত ঝর্নার স্বামী মেচেদায় একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজে প্রায়শই বাইরে থাকতেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ঝর্নার সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় জগন্নাথ ওরফে কৃষ্ণপ্রসাদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রায়শই ওই পরিবারে অশান্তি হতো। গত কাল রাতে ঝর্নার ঘরে জগন্নাথের উপস্থিতির প্রতিবাদ জানায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এর জেরেই ওই চার জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনের অস্ত্র হিসেবে একটি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ এই ঘটনায় পলাতক জগন্নাথের হাত থাকতে পারে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধে ঘণ্টাখানেক বিপর্যস্ত পরিষেবা
কাঁকিনাড়া জুট মিল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার সকালে শিয়ালদহ মেন লাইনের কাঁকিনাড়া স্টেশনে প্রায় হাজার তিনেক শ্রমিক অবরোধ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে এলাকার বিধায়কের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। তবে এর পরেও বেশ কিছু শ্রমিক লাইন থেকে না-সরায় আরপিএফ মৃদু লাঠি চালায়। ঘটনার জেরে এ দিন সকালে মেন লাইনে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার হলেও এ দিন রাজ্যের ‘স্টাফ সিলেকশন’ পরীক্ষা ছিল। অবরোধে শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে প্রচুর পরীক্ষার্থী আটকে পড়েন। আটকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরাও। রেল সূত্রে খবর, অবরোধ শুরু হয় সকাল ৭টা নাগাদ। চলে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “এই ঘটনার জেরে দু’টি ট্রেন বাতিল করতে হয়। ১০টি ডাউন ও ৫টি আপ ট্রেন গড়ে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি দেরি করে চলাচল করে।”

ভূমিহীনদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনে অসমের কৃষক নেতা
ভূমিহীনদের অধিকার নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার হুমকি দিলেন অসমের কৃষক নেতা অখিল গগৈ। এ বিষয়ে আগামিকাল থেকে দু’দিনের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনেও যাবেন তিনি। মঙ্গলবার অসম সফরে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী এলে আন্দোলনের আঁচ পড়বে সেই সফরেও, হুঁশিয়ারি তাঁর। ভূমিহীন অসমিয়াদের জমির পাট্টা বিলি সংক্রান্ত সরকারি নীতির বদল না-হলে আত্মহত্যার মতো চরম উপায় নিতেও পিছু হটবেন না তিনি, এমনটাই হুমকি ওই কৃষক নেতার। এবং এর দায় রাজ্যে সরকারকেই নিতে হবে, বলেন তিনি। সরকারকে পাট্টা প্রদানের অন্তিম আহ্বান দিয়ে গগৈ বলেন, “রাহুল গাঁধী অসমে এলে তাঁকে ভূমিহীন অসমিয়াদের মৃতদেহের উপরে সভা করতে হবে।”
গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে জলাভূমি ও পাহাড়ি জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে জবরদখলকারী হিসাবে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের কাজ চালাচ্ছে সরকার। উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলিকে নিয়েই অসম জুড়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন অখিল। পাহাড়-জলাভূমি-বনভূমিতে মন্ত্রী-আমলা ও পুঁজিপতিদের আবাসন-হোটেলের এক তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই ক্ষমতাশালীরা ‘অন্যায় ভাবে’ জমি দখল করেছেন। অথচ ভূমিহীনদের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে যথেষ্ট উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার, অভিযোগ অখিলের।

অসম-অরুণাচল সীমানা সংঘর্ষে নিখোঁজ আরও চার ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল। এর ফলে ওই এলাকায় ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। গত ২৯ জানুয়ারি শোণিতপুর-পাপুমপারে সীমানার চাউলধোয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, অরুণাচল প্রদেশে থেকে আসা সশস্ত্র হানাদারদের আক্রমণেই ঘটনাস্থলেই মারা যান দশ জন। ওই হামলায় জখম বারো জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া, নিখোঁজ হন ৭ জন। পরে লাচু মার্দি নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অন্য দু’জন এলাকায় ফিরে এলেও বাকি চারজনের খোঁজ চলছিল। গত কাল প্রথম দেহটি উদ্ধার হয় চাউলধোয়ার কাছে। সে’টি ছিল মনেশ্বর মুণ্ডার গলিত দেহ। এর পর, আরও তিন কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে বিকাস টেরন, করিরাম টেরন ও সুরেন ক্রামসার হাত-পা বাঁধা অবস্থার গলিত দেহ মেলে। মনেশ্বরের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল অভিযোগ। অন্যদের টুকরো-টুকরো করে কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার নিন্দা করে অরুণাচল আগ্রাসন প্রতিরোধ সমিতির উপদেষ্টা তথা সিপিআই (এম এল) নেতা বিবেক দাস দাবি করেন, ‘‘এই ঘটনার জন্য অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।” ৫ মার্চের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না-হলে, ৬ মার্চ থেকে ফের অরুণাচলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের ডাক দেন তিনি। আদিবাসী ছাত্র সংগঠন, জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদও ঘটনার নিন্দায় সরব হয়। এলাকায় পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে।

বেলদায় পথ দুর্ঘটনায় নিহত ১
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় বাস ও লরির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক জন। আহত সাত জন। রবিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার শ্যামপুরায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে নিহত যুগল দাস (৩৫) ঝাড়গ্রামের বেলাটিকড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের লালগড় থেকে ৭৬ জন যাত্রী নিয়ে পুরীর উদ্দেশে রওনা হয় একটি ট্যুরিস্ট বাস। ওই বাসটিই পুরী থেকে এ দিন লালগড়ে ফিরছিল। বেলদার জাতীয় সড়কে বাসটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। দুর্ঘটনার পর গতি বাড়িয়ে লরি নিয়ে পালিয়ে যায় তার চালক। ঘটনাস্থলেই নিহত যুগল দাসের দেহ ময়না-তদন্তের জন্য খড়্গপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আহত সাত জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় সামান্য আহত ২৫ জনকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের লালগড়ে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.