‘সোসাইটি ফর ভিস্যুয়ালি হ্যান্ডিক্যাপড’কলকাতার এই সংগঠনটির উদ্যোগে এবং সর্ব শিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় প্রকৃতিপাঠে অংশ নিল দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা। ডুয়ার্সের গরুমারার জঙ্গল লাগোয়া লাটাগুড়িতে এই শিবিরটি বসে। তিনদিনের শিবিরটি শনিবার শেষ হয়। শব্দ, স্পর্শ, ঘ্রাণে প্রকৃতিকে চিনে নিজেদের জড়তা কাটানোই এই শিবিরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান সংগঠনের সম্পাদক হেনা বসু। হেনাদেবী জানান, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগিতায় মোট ৪২ জন ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়ারা শিবিরে অংশ নিয়েছে। দৃষ্টিহীনদের শেখাতে দৃষ্টিহীন প্রশিক্ষকেরাও ছিলেন শিবিরে। পূর্ব রেলের কর্মী রণবীর দত্ত, কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের কর্মী শিপ্রা মৈত্রেরা সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। তা সত্ত্বেও তাদের দৈনন্দিন জীবন মসৃণ জীবনের জড়তাকে কাটিয়ে কী ভাবে স্বাভাবিক লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তারই কথা শিশু-কিশোরদের বোঝানো হয়েছে বলে জানান ওরা। পড়ুয়াদের ব্রেইল পদ্ধতির বই এবং কথা বলা বই অর্থাৎ রেকর্ড করা শিক্ষণ পদ্ধতি বা নির্দেশিকাও ওদের দেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনটির তরফে জানানো হয়।
শিবিরে এসে দারুন খুশি খুদে পড়ুয়ারাও। হাঁসখাওয়া চা বাগানের যোগেশ রাই অথবা আমবাড়ির বিজয় লাকড়া কিংবা বড়দিঘি এলাকার নেপুচাপুর চা বাগানের সঞ্জিতা ওঁরাও প্রত্যেকেই শিবিরে তিনদিন কাটিয়ে খুশি। ওদের কথায়, “আমরা হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেই এখন হাতির শুঁড় কীরকম হয় তা বুঝতে পারছি। আবার গাছের পাতা কেমন কিংবা কোন পাখির ডাক কেমন সেটাও অনেকটা চিনতে শিখেছি।” |