ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ, হত ৮
শুরুটা হয়েছিল ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সপ্তাহ না গড়াতেই তা রূপ নিল ভয়াবহ সরকার-বিরোধিতার। যার জেরে ইতিমধ্যেই ভেনেজুয়েলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ নেই।
শুক্রবারও রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। প্রথমে পুলিশ ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। তার পর হাতের কাছে যা কিছু পেয়েছেন তা-ই ফেলেছেন সেই আগুনে। তবে শুধু কারাকাসে নয়, কারাবোবো, জুলিয়া, তাচিরা সর্বত্রই প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরেছে জনতা। তাদের দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাল, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি এবং লাগামহীন অপরাধে দেশের হাল শোচনীয়। অথচ সরকার কিছুই করছে না।
সম্প্রতি তাচিরার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সঙ্গেই ‘অভব্য’ আচরণ করে। কাউকে কাউকে আটকও করে। তার পরই বাড়তে শুরু করে বিক্ষোভ। ক্রমে তা পরিণত হয় সরকার-বিরোধিতায়।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। গত কালই জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টির নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন উস্কানি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন মাদুরো। তাঁর মতে, ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে একপেশে খবর সম্প্রচার করছে সংবাদমাধ্যম।
তার জেরেই ভেনেজুয়েলার ‘গৃহযুদ্ধে’-র ভুয়ো ছবি দেখছে তামাম দুনিয়া। দেখছেন ভেনেজুয়েলার বাসিন্দারাও। আর তার থেকেই ভুল বোঝাবুঝি, বিক্ষোভ।
এ সব কিছু মেটাতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার কথাও বলেন মাদুরো। জবাবে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি শুক্রবার বলেন, “এ কোনও গণতান্ত্রিক দেশের আচরণ নয়।” পরিস্থিতি তাতে অবশ্য বদলাচ্ছে না। সপ্তাহান্তে ব্যাপক জনসমাবেশের আশঙ্কা রয়েছে রাজধানীতে। তার পর কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.