শুরু হয়েছিল নিজামের শহর হায়দরাবাদ দিয়ে। এ বার মোদী যেন চা বিলি করতে পৌঁছে গেলেন রাজার শহর কোচবিহারেও।
বৃহস্পতিবার অন্ততপক্ষে কুড়ি জন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র সিংহ মোদীর মুখোশ পরে চায়ের ভাঁড় হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন কোচবিহারের কাছারি মোড়ে। চা বিলোলেন। পথচলতি লোকজনকে ডেকে ডেকে তাঁদের বোঝালেন, কেন তাঁরা মোদীর মুখোশ পড়ে চা বিলি করছেন। সেই কথায় কোথাও রাজনীতি নেই। ছিল শুধু চা বিক্রি করা এক বালকের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার গল্প। তাই শুনলেন অনেকে ঠায় দাঁড়িয়ে। চা খেতে খেতে যা দেখে উচ্ছ্বসিত বিজেপি কর্মীরা। দলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই ৬০০ কাপ চা খেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সকলেই উৎসাহী। সকলেই জানতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদীর কথা। কী ভাবে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে স্টেশনে স্টেশনে চা বিক্রি করতেন। সেখান থেকে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী হলেন? তাঁর জীবন সংগ্রামের কথা বলছি আমরা। এ রকম একজন মানুষকেই সকলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন।” |
বস্তুত, কোচবিহার জেলায় বিজেপি-র সাংগঠনিক শক্তি তৃণমূল বা বামেদের তুলনায় অত্যন্ত দুর্বল। হাতে গোনা কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়া বিজেপির ঝুলিতে আর কিছু নেই। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এ বারের লোকসভা নির্বাচন তাঁদের কাছে খুব কঠিন। তাই মোদীকে ঘিরে যেখানে গোটা দেশে বিজেপি-র প্রচারের ঢেউ উঠেছে, সেখানে কোচবিহারেই বা তাঁরা পিছিয়ে থাকবেন কেন?
সে জন্য চায়ের দোকানকেই হাতিয়ার করেই কোচবিহারে লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমেছে বিজেপি। এ দিন কাছারি মোড়ে একটি স্টল তৈরি করে সকাল ১১ টা থেকে চা বিলোতে নেমে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সেখানেই চা তৈরি করা হয়। তাঁর পর তুলে দেওয়া হয় পথচলতি মানুষের হাতে। মানুষের আগ্রহ কম ছিল না। এ দিন চা বিলি করলেন যাঁরা সেই যুব মোর্চার গৌরীশঙ্কর চহ্বান, বাপি দে, শীতল দাস, অপু দে সকলেরই আদর্শ মোদী। জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জানান, এখন থেকে তাঁরা লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চা বিলির কর্মসূচি নেবেন। ইতিমধ্যেই ১০টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। |