মাদক নিয়ন্ত্রণে এ বার জেলা জুড়ে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কী ভাবে জেলার প্রতিটি প্রান্তে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার রূপরেখা তৈরি করতে বৃহস্পতিবার এক বৈঠক হয় জেলা পরিকল্পনা ভবনে।
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমস্ত দফতরকে নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে শিবির করা হবে। শুধু এটাই নয়, যে সমস্ত শ্রমিকেরা স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় কাজ করেন, পাথর খাদানে কাজ করেন, তাঁরাও দূষণ থেকে আক্রান্ত হন সে বিষয়েও কারখানার দূষণ চিত্র খতিয়ে দেখা ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে শিবির করা হবে। এ দিনের বৈঠকে সাধারণ প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অবধেশ পাঠক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা, দুই উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গি ও রবীন্দ্রনাথ প্রধান। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত কমিটি রয়েছে। সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। প্রকাশ্য স্থানে কেউ ধূমপান করছেন কিনা নজরদারি চালাতে হবে। ধরা পড়লে ২০০ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ গজের মধ্যে কেউ মাদক বিক্রি করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রেও জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, অনেক সময়েই স্পঞ্জ আয়রণ কারখানায়, সিমেন্ট কারখানায় বা পাথর খাদানে দূষণ থেকে শ্রমিকদের মধ্যেও নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। তা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু শ্রমিকদের পক্ষে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। এ ব্যাপারেও স্বাস্থ্য দফতর গিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি দূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। ২০০৩ সালে এই আইন চালু হলেও সেভাবে তল্লাশি চালানো বা ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এবার এই ব্যাপারে তল্লাশির জন্য ফের নির্দেশ এসেছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
|
বিশালাক্ষীতলা ঐক্যতানের উদ্যোগে সম্প্রতি স্বাস্থ্যমেলার আয়োজন করা হয়। সংস্থার পাশের মাঠে আয়োজিত ওই মেলায় বহু মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। তাঁদের পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। |