রাজ্যে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির লক্ষ্যে বিল পাশ হল বিধানসভায়। আরও আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি খারিজ করে বৃহস্পতিবার পাশ হল ‘অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৪’।
বিলটি বিধায়কদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে বুধবার। বাজেট-বিতর্ক চলাকালীন মাত্র এক দিনের মধ্যে নতুন বিলের খুঁটিনাটি বোঝা বা পোড়া সম্ভব নয় বলে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানান, বিলটিকে সিলেক্ট কমিটি বা স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। তাড়াহুড়ো না-করে বিলটি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি যুক্তি দেন। এর আগে অন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘সিকম ইউনিভার্সিটি বিল’ও বিরোধীদের দাবিতে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। বিধানসভায় আজ, শুক্রবার সেই বিলটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেই প্রসঙ্গ টেনে স্পিকার বলেন, “সিকম বিশ্ববিদ্যালয় বিল আর এই বিলে মধ্যে তেমন ফারাক নেই।” সিকম নিয়ে যখন কয়েক মাস
ধরে কমিটিতে আলোচনা হয়েছে,
তার পরে অ্যাডামাস বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রয়োজন নেই বলে সরকার পক্ষের যুক্তি। পরে ভোটাভুটিতেই বিরোধীদের দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
পরে সূর্যবাবুর অভিযোগ, “সরকার বিধি ভঙ্গ করে গায়ের জোরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশ করিয়ে নিল। এটা বারবারই আমরা লক্ষ করছি যে, বিধানসভার বিধি এই সরকার লঙ্ঘন করছে।” ভোটাভুটিতে বিরত ছিল কংগ্রেস এবং এসইউসি। কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মাও বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলেন। এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্করের বক্তব্য, নতুন এই বিল পাশ হলে শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণের রাস্তা প্রশস্ত হবে। এ ছাড়াও যে সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করবে, তাদের অধীনে রাজ্যে চাকরির প্রশিক্ষণের কেন্দ্র রয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়েও বহু অভিযোগ রয়েছে বলে তরুণবাবুর দাবি।
কিন্তু বিরোধীদের আপত্তি এড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বোঝানোর চেষ্টা করেন, “সিকম আর এই বিলের
চরিত্র এক। ফলে সিলেক্ট কমিটিতে বিলটি ফের পাঠানো অযৌক্তিক।” তাঁর যুক্তি, “এ রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আরও বাড়লে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন।” |