জানলার কার্নিসে, পাশের গাছে, চার দিকের পাঁচিলে, জলের পাইপে চড়ে টুকলির কাগজপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমন দৃশ্য দেখা যায় হামেশাই। সেই প্রবণতা রুখতে এ বার নজরদার ভিডিও ক্যামেরার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে মাধ্যমিকে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে টোকাটুকি রুখতে কড়া নজরদারি চালাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ওই ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা হচ্ছে। দুইয়ে মিলিয়ে এ বছরের মাধ্যমিকে নকলের ঘটনা অনেক কমবে বলে প্রশাসক আশাবাদী। এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি। চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত।
কল্যাণময়বাবু বৃহস্পতিবার বলেন, “জেলাগুলিকে ১০ ভাগে ভাগ করে ভিডিও ক্যামেরা বসবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা করা যাবে না। বাইরে থেকে কেউ নকলের সরঞ্জাম সরবরাহ করছে খবর পেলে ভিডিও করা হবে।” তা দেখে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার রাজ্যের ৫৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। আগে জানানো হয়েছিল, ওই সব কেন্দ্রে সিসিটিভি বসবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরেও হবে ভিডিও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কোনওটাই করা হচ্ছে না বলে এ দিন জানান প্রশাসক। তিনি বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরেই আমাদের ভরসা আছে। তাঁদের বলা হয়েছে, কড়া নজরদারি করতে হবে। তাঁরা সযত্নে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং এতেই কাজ হবে।” প্রতি বছরই শিক্ষকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় অবাধে টোকাটুকি চলে। এ বার পর্ষদ কেন এতটা নিশ্চিন্ত, তা অবশ্য জানাননি প্রশাসক। |