চায়ের কাপ আর প্লাস্টিকে ভরেছে সিটি সেন্টার
ক দিকে শহরকে সুন্দর রাখতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, অন্য দিকে সেই শহরেরই কোথাও স্তূপ হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা, কোথাও বা নালা বুজেছে জঞ্জালে। দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সিটিসেন্টারের নানা এলাকায় এ ছবি রোজকার।
অথচ, শিল্পাঞ্চলের মূল বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে দিনে দিনে গুরুত্ব বাড়ছে এই এলাকার। বড় হোটেল, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স তো বটেই, আদালত, পুরসভা, আয়কর দফতর-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ও এই এলাকাতেই অবস্থিত। ফলে বাসিন্দা বাড়ছে, নানা প্রয়োজনে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলার প্রবণতাও। সিটি সেন্টারের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেই দেখা যায়, কোথাও আবর্জনার স্তুপ, কোথাও রাস্তায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোংরা ছড়িয়ে থাকায় বাড়ছে দূষণও।
সিটিসেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহ ও দুর্গাপুরের একটি সিনেমা হলের মাঝখানে এক টুকরো ফাঁকা জমি রয়েছে।
পুরসভার সামনেই।—নিজস্ব চিত্র।
গাছগাছালি ভরা সেই জায়গাতে ক্রমাগত আবর্জনা ফেলা হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি। এলাকার এক বাসিন্দা দেবাশিস রায় জানান, যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকায় গোটা এলাকাটায় নোংরা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, “সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে বাইরে থেকে বহু মানুষ নানা অনুষ্ঠান করতে আসেন। এরকম জায়গা দেখলে দুর্গাপুর সম্পর্কে তাঁদের খুব একটা ভাল ধারণা হবে না।” এলাকাবাসীদের দাবি, কয়েকদিন আগে কেউ বা কারা এখানে একটি বাছুরের মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায়। ফলে দুর্গন্ধে নাকেমুখে কাপড় ঢেকেও যাতায়াত করা মুশকিলের হয়ে পড়েছিল।
এছাড়া দুর্গাপুর পুরসভার উল্টোদিকে রাস্তার পাশে একটি নর্দমা আছে। চায়ের কাপ, প্ল্যাস্টিকে তার একটা অংশ কার্যত বুজে গিয়েছে। আশপাশের দোকানের আবর্জনাও সেখানে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পাশেই একটা আন্ডারপাস রয়েছে। পলাশডিহা যাওয়ার জন্য অনেকেই হেঁটে, সাইকেলে বা মোটরবাইক নিয়ে সেদিক দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা দুর্গন্ধে ভরে ওঠে বলে এলাকাবাসীর দাবি। তাঁরা জানান, আবর্জনা ফেলতে ফেলতে নর্দমাটি প্রায় মজে গিয়েছে। পুরসভার সামনেই এরকম অবস্থা হওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। এলাকার শুভদীপ সাহা জানান, পুরসভায় বাইরে থেকে অনেক লোকজন আসেন। তাঁরা এই হাল দেখা মানে পুরসভারই অপমান। কাজেই দ্রুত সাফাই করে দূষণের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করা প্রয়োজন পুরসভার।
এ ছবি দেখা গিয়েছে দুর্গাপুর আদালত চত্বরেও। আদালত চত্বরের নীচে যে নর্দমাটি রয়েছে বিভিন্ন রকম কাগজ, কাপড়, চায়ের কাপ, খাবারের পাতায় ভরে উঠেছে তা। নর্দমার জলে উড়ছে মশা, মাছিও। অথচ তার পাশেই একাধিক লোক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে গোটা আদালত চত্বর। আসামীদের নীচে থেকে যে দিক দিয়ে আনা হয় সেখানকার নদর্মাটিরও একই দশা। প্ল্যাস্টিক, চায়ের কাপ, গুটখার প্যাকেটেও পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। বাসিন্দাদের দাবি, শহরকে সুন্দর, দূষণমুক্ত করতে আগে এ সমস্ত এলাকা সাফাই করা দরকার। তৃণমূলের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক পরিমল অগস্তি বলেন, “নজর এড়িয়ে বাইরে থেকে লোকজন এসে আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। সৃজনী প্রেক্ষাগৃহের পাশে পশুর মৃতদেহ পর্যন্ত ফেলে দেওয়া হচ্ছে।” এ বিষয়ে দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শহরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করে তুলতে পুরসভা থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।”

২৩শে ডগ-শো
পিপল ফর অ্যানিম্যালস-এর উদ্যোগে শিলিগুড়িতে ‘ডগ শো’র আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তা সংগঠনের অন্যতম মনীষা গুপ্ত জানান, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঘা যতীন পার্কে ওই ডগ শো হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.