শিলিগুড়িতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার কার্ড বিলি করতে পুর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার শিলিগুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। কার্ড বিলির ব্যবস্থা না-হওয়ায় বিপিএল পরিবারগুলি ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার যে সুবিধা নিতে পারেন তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
সমস্যা মেটাতে তিনি প্রশাসনের কর্তাদের দ্রুত বৈঠক ডাকতে বলেছেন। মন্ত্রী বলেন, “আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক, মহকুমাশাসকদের নিয়ে ওই বৈঠক করার কথা জানিয়েছি। গরিব পরিবারগুলি ওই স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ পাবেন। অথচ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ওই কার্ড বিলির কাজ শুরু হলে-ও পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জেনেছি। অন্য ওয়ার্ড গুলিতে কাজই হয়নি।”
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, তাঁরা সমস্ত রকম সাহায্য করতে চাইলেও প্রশাসনের তরফেই যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য তা আটকে রয়েছে। পুরসভার ইউপিই সেলের মেয়র পারিষদ সঞ্জয় পাঠক বলেন, “২০১২ সালের ২২ জুলাই কংগ্রেস এবং তৃণমূল জোটের পুর বোর্ড থাকার সময় এ ব্যাপারে প্রশাসন বৈঠক ডেকেছিল। যে সংস্থা কাজে যুক্ত তারা জানিয়েছিল ৫ দিনে ওই কাজ করতে হবে। পরে ওই সংস্থা বা প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এ দিন বৈঠকে ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক, মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়া, উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক-সহ অনেকেই। খাবারের মানোন্নয়নের জন্য দায়িত্ব মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতালে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা বর্জ্য ফেলার জন্য বিশেষ ঘর তৈরি করতে ১০ লক্ষ টাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা রাজি হলে ওই কাজ ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের বললে পুরসভার সাফাই বিভাগের তরফেই করে দেওয়া হবে। হাসপাতাল থেকেই জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা হাসপাতালে মেডিসিন, পেডিয়েট্রিক, প্রসূতির মতো বিষয়ে ডিএনবি কোর্সে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে সরকার। সেবক রোডে হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির বিষয়ে একটি পরিকল্পনা শীঘ্রই পাঠানো হবে। সেখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের শয্যা সংখ্যা ৬ টা থেকে বাড়িয়ে ৮ টিতে করা হয়েছে। এ দিন ওই পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেন গৌতমবাবু। |