রাগবিতে মেতেছে ডুয়ার্সের গজলডোবা
জলডোবার তিস্তা পাড়ের চা বাগানের বাসিন্দা অরুণ ওঁরাও, রণিত করোয়া, মেনকা করোয়ার পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম নিউজিল্যান্ডের ড্যান কার্টার। আবার কৃষ্ণা, নিকিতা, রুশ্মিতা ওঁরাওয়ের পছন্দ নাহ মুনুরাকে।
ড্যান কার্টার কিংবা নাহ মুনরা-র নাম অনেকের কাছেই অজানা। অথচ তিস্তা পাড়ের ওই ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানে। কোন খেলায় কে কতবার ‘এইচ’ এর উপর দিয়ে বল মারতে পেরেছে তা-ও মুখস্থ। এখন গজলডোবার চা বাগান লাগোয়া স্কুলের পড়ুয়ারাও সেই খেলায় মেতেছে।
আগামী মাসেই স্কুলে বসবে রাগবির আসর।
জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি।—নিজস্ব চিত্র।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায় গিয়ে রাগবি চাম্পিয়ানশিপে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয় অরুণ, নিকিতারা। আগামী মাসে গজলডোবাতেও বসবে রাগবির আসর। সেখানে বিদেশি তারকাদেরও আসার কথা। ডুয়ার্সের মালবাজার থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল ঘেরা গজলডোবার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা রাগবি খেলায় আকৃষ্ট হওয়ায় উৎসাহিত স্কুল কর্তৃপক্ষও।
গজলডোবা ১০ নম্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন রাগবিই জনপ্রিয় খেলা। স্কুল লাগোয়া সরস্বতীপুর চা বাগানের মাঠেও রোজ বিকেলে ডিম্বাকার বল নিয়ে খেলতে দেখা যায় ছেলে-মেয়েদের। কীভাবে প্রত্যন্ত এই এলাকায় আচমকা রাগবির প্রতি ঝোঁক তৈরি হল, জানতে গিয়ে খোঁজ পাওয়া গেল ‘জাঙ্গল ক্রো’ নামের একটি সংগঠনের। ভারতে রাগবি খেলার জনপ্রিয়তা বাড়াতেই বেশ কিছু বছর ধরে কলকাতায় এই সংগঠনটি সক্রিয় রয়েছে। ২০০৪ থেকে এক ব্রিটিশ নাগরিক পল ওয়ালস এই সংগঠন চালাচ্ছেন। এ দেশের প্রতিটি বড় শহরেই এই সংগঠনের দফতরও রয়েছে। সংগঠনের দুই সদস্য উত্তরবঙ্গেও রাগবি-প্রচার চালাচ্ছেন।
সানু দাস এবং আমিরুল ইসলাম নামের কলকাতার বাসিন্দা দুই যুবক সরস্বতীপুর চা বাগানে গিয়ে রাগবি খেলা শেখাচ্ছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংস্থার কলকাতা অ্যাকাডেমিতে ‘গ্লোবাল স্পিড টুর্নামেন্টে’ অংশ নিতে সরস্বতীপুর চা বাগানের পড়ুয়াদের নিয়ে যায় সংগঠনের সদস্যরা। ১৩ বছরের কম বয়সী দলে ছাত্র-ছাত্রীরা একই দলে খেললেও, ১৩ বছরের বেশি বয়সী ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য পৃথক দল তৈরি করে খেলানো হয় বলে সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে সকলকে চমকে দেয় মাত্র দু’বছর ধরে রাগবি শেখা সরস্বতীপুর বাগানের পড়ুয়ারা। দুই প্রশিক্ষক সানু দাস এবং আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পৃথিবী বিখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের টম ভার্নেলের সামনে ওরা খেলেছে। টম গজলডোবার ছেলে মেয়েদের খেলার প্রশংসাও করে, ওদের পরামর্শও দিয়েছিলেন। অরুণ, নিকিতাদের কথায়, “মাত্র কয়েক মাস রাগবি খেলেই আমরা কলকাতায় যেতে পেরেছি। তাই উৎসাহ পাচ্ছি। স্যারেরাও খুবই অনুপ্রাণিত করেছেন।” গজলডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ রায় বলেন, “সহকারি প্রধান শিক্ষক সুজয় বড়ুয়ারই কৃতিত্ব প্রাপ্য। তাঁর উদ্যোগেই পড়ুয়ারা খেলা শিখেছে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.