আজ, ২০ ফেব্রুয়ারি ৯ দিনের বকেয়া বেতন পাওয়ার আশা করছেন উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের লুমটেক্স জুটমিলের প্রায় ১৫০০ শ্রমিক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মিলের ১১টি শ্রমিক ইউনিয়নের। পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ইএসআইয়ের পুরনো বকেয়া টাকার দাবিতে শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনের বৈঠক হয়।
লুমটেক্সের ১১টি শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ, ১৯৯০ সাল থেকে মিলে কোনও অডিটই করা হয়নি। শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ ৪৪ কোটি টাকা, গ্র্যাচুইটি বাবদ ১৫ কোটি টাকা, আর ইএসআই বাবদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এখনও চটকল কর্তৃপক্ষ মেটায়নি বলে অভিযোগ ইউনিয়নগুলির। সেই দাবিতে ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে ওই চটকল।
গত ২৭ জানুয়ারি শ্রমিকেরা টিটাগড় স্টেশনে রেল অবরোধ করার পরে সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিয়নগুলিকে জানানো হয় ৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই মতো ৬ তারিখ শ্রম কমিশনারের দফতরে বৈঠক হলেও পিএফ, গ্র্যাচুইটির প্রশ্নটি অমীমাংসিতই থেকে যায়। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন শ্রমিকদের দিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় চটকল কর্তৃপক্ষ। পরে ফের তা পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ওই বকেয়া বেতন দেওয়া হবে বলে নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বকেয়া বেতনের প্রশ্নটি মিটলেও শ্রমিকদের প্রাপ্য পিএফ, গ্র্যাচুইটির বিষয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। মিল কর্তৃপক্ষের তরফে দীপু ভট্টের দাবি, সব টাকাই শ্রমিকদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পিএফ কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো বকেয়া তো বটেই, নতুন বকেয়াও মেটাননি মিল কর্তৃপক্ষ। মিলের সংগ্রামী মজদুর ইউনিয়নের তরফে শর্মিষ্ঠা চৌধুরী বলেন, “এত দিন শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ, গ্র্যাচুইটির দাবিটিকে স্বীকৃতিই দেয়নি মিল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আমরা ত্রিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছি। ওরা তো বিষয়টি মানতেই চাইছেন না। উল্টে মিথ্যা দাবি করে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরির চেষ্টা করছেন।” |