যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুরজিৎ সিংহকে তাঁর বান্ধবীর বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা মারধর করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর দাবি পুলিশের।
গত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন সুরজিৎ। মঙ্গলবার আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা জানান, গত শুক্রবার আরামবাগে পৌঁছেছিলেন সুরজিৎ। শনিবার বিকেলে সাজিডাঙায় বান্ধবীর বাড়িতে যান। সেখানেই রাতের খাওয়া সারেন। সে সময়ে বান্ধবীর বাবা শঙ্কর জানার সঙ্গে সুরজিতের কথা কাটাকাটি বাধে। পুলিশ জানিয়েছে, চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। সুরজিৎকে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়। |
পুলিশের সন্দেহ, মেয়েটির আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের কেউ কেউ নদীর ধারে এনে প্রচণ্ড মারধর করে সুরজিৎকে। পালাতে গিয়ে কোনও ভাবে নদীতে পড়ে যান ওই যুবক। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে তাঁর অণ্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পাকস্থলী এবং খাদ্যনালীতে প্রচুর বালি মিলেছে।
খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্করবাবু। বুধবার আরামবাগ আদালতের বিচারক তাঁর ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও শঙ্করবাবুর বড় মেয়ে এবং স্ত্রীর দাবি, আদৌ তাঁদের বাড়িতে আসেননি সুরজিৎ। তাঁরা চিনতেন না ছেলেটিকে। এমনকী, ছোট মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও জানতেন না। শঙ্করবাবুর বড় মেয়ের বক্তব্য, “বোন গত কয়েক দিন বাড়িতেই ছিল না। আমাদের সন্দেহ, অন্য কেউ ছেলেটিকে আরামবাগে ডেকে এনে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।” এলাকারই এক যুবক বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর বোনকে উত্যক্ত করত বলে দাবি করেন তিনি। |