দীর্ঘ দিন ধরেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) পেনশন প্রকল্পে অনুদান সময়ে জমা না-দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের দিকে তোপ দাগল সিএজি। একই সঙ্গে অবিলম্বে তা জমা করার কথাও কেন্দ্রকে বলল তারা। যদিও ইপিএফও-র দাবি, এর জন্য পেনশন পাওয়ায় কোনও অসুবিধা হবে না।
সাধারণত দু’একটি নির্দিষ্ট শিল্প ছাড়া বাকি সবখানেই ৬,৫০০ টাকা বেতন (মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা মিলিয়ে) পর্যন্ত ইপিএফের সুবিধার আওতায় পড়েন কর্মীরা। এ জন্য বেতনের ১২% কেটে পিএফ তহবিলে জমা দেওয়া হয়। একই পরিমাণ টাকা তহবিলে জমা দেন নিয়োগকারীও। নিয়োগকারীর টাকার ৮.৩৩% পেনশন খাতে জমা পড়ে। বাকি ৩.৬৭% যায় প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে। এ ছাড়া, পেনশন খাতে বেতনের উপর ১.১৬% অনুদান দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থাটির অভিযোগ, ২০০৬-’০৭ থেকে ২০১১-’১২ আর্থিক বছরের মধ্যে প্রায় নিয়মিত ভাবেই অনুদানের পুরো টাকা জমা দেয়নি কেন্দ্র। পরে বকেয়া টাকা চাওয়া হলে, তা-ও মেটানো হয়নি পুরোপুরি। ফলে ওই অঙ্ক ক্রমশ বাড়তে থেকেছে। ২০১১-’১২ সালে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ১,৯৪৩.৯৯ কোটি টাকা।
সিএজি-র দাবি, টাকা সময়ে না- দেওয়ায় তহবিল বিনিয়োগে অসুবিধা হবে। সমস্যা হবে সুদ নির্ধারণেও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইপিএফের পেনশন তহবিলের মূল্যায়ন ও ঝুঁকি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল নিগমের অ্যাকচুয়ারি মেসার্স কে এস পন্ডিত। তাদের হিসাবে, কর্মীরা সকলে পুরো পেনশনের হকদার হলে শুধু বর্তমান হিসাবেই (সদস্য একই থাকলে) ঘাটতি দাঁড়াবে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ দিকে, বুধবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০১৩-’১৪ সালের জন্য ইপিএফে সুদ আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৭৫% করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় অছি পরিষদ। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হবে কিনা, সেটি তহবিল লগ্নি করে পাওয়া রিটার্নের উপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি। তা ছাড়া, ৭০টি বেসরকারি পিএফ ট্রাস্টে যাঁরা টাকা ঢেলেছেন, তাঁদের করছাড়ের সুবিধা জারি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মার্চের প্রথমেই বৈঠকে বসবে ইপিএফও। |