|
|
|
|
টাটকা খবর |
রাজীব হত্যায় দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত জয়ললিতার
সংবাদ সংস্থা |
রাজীব গাঁধী হত্যাকাণ্ডে দোষী নলিনী শ্রীহরণ-সহ সাত জনকেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু সরকার। বুধবার সকালে বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্র কিছু না জানালে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এ বিষয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী জানান, জয়ললিতার এই সিদ্ধান্তে তিনি গভীর ভাবে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রীই ন্যায় বিচার না পান, তবে দরিদ্র ভারতবাসী কী ভাবে ন্যায় বিচার পাবেন। অন্য দিকে, এ প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপির মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, এই সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী হত্যার মতো গুরুতর বিষয়টি অবহেলা করা হয়েছে।
ক্ষমাভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তে ১১ বছর দেরি হওয়ায় মঙ্গলবারই ওই হত্যা মামলার তিন দোষী পেরারিভালান, সান্থন ও মুরুগান-এর মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই তিন জনের মুক্তির বিষয়টি তামিলনাড়ু সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা পেরোল না, তামিলনাড়ু সরকার তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল। সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৩ বছর ধরে কারাবাসের পর শীঘ্রই মুক্তি পাবে ওই সাত জন। রাজ্যের বিরোধী দল ডিএমকে-র জানিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছে সরকার এবং এ ব্যাপারে করুণানিধির কৃতিত্বও কম নয়।
ওই তিন জন ছাড়া মুক্তির তালিকায় রয়েছে নলিনী শ্রীহরণ, রবার্ট পিউস, রবীচন্দ্রন এবং জয়কুমারের নাম। ১৯৯১ সালের রাজীব হত্যাকাণ্ডে ১৯৯৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই সাত জন। ২০০০ সালে নলিনীর প্রাণভিক্ষা মঞ্জুর হয় সনিয়া গাঁধীর অনুরোধে।
অন্য দিকে, এ ব্যাপারে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে থেকে কোনও চিঠি আসেনি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে।
|
কেন্দ্রে পরিবর্তনের জন্য মমতাতেই আস্থা অণ্ণার
সংবাদ সংস্থা |
প্রত্যাশা মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মুখ খুললেন অণ্ণা হজারে। বুধবার, নয়াদিল্লিতে মমতার সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, কোনও দল নয় তিনি ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন। দেশের আর কোনও মুখ্যমন্ত্রীর জীবন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে সংঘর্ষপূর্ণ এবং অনাড়ম্বর নয়। তিনিই দেশে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে মত অণ্ণার। দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ‘দিদি’র বিচারের সঙ্গে তাঁর মতের মিল আছে। অণ্ণার কথায়: “শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থারও পরিবর্তন দরকার।” এবং তাঁর বিশ্বাস, মমতার পক্ষেই তা সম্ভব। |
|
দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অণ্ণা হজারে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই |
অন্না হজারে জানান, দেশে প্রকৃত পরিববর্তনের জন্য ১৭টি জরুরি বিষয় জানিয়ে তিনি সব দলকে চিঠি দিয়েছিলেন। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর চিঠির জবাব দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে মমতা ইতিমধ্যেই তাঁর রাজ্যে কাজ শুরু করেছেন। অণ্ণার মতে, সংসদে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০০টি আসন পেলেই মমতা দেশে পরিবর্তন আনতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি ‘দিদি’র প্রার্থীদের জন্য প্রচারেও যোগ দেবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন অণ্ণা হজারে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক কাজের চাপ সত্ত্বেও অণ্ণার আর্শীবাদ নিতে তিনি দিল্লি এসেছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে অণ্ণার ১৭টি বিষয়ের অনেকগুলিতেই তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে জানান তিনি। তবে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনার দরকার রয়েছে। অণ্ণার মতো তিনিও জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরোধী। নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনের সংস্কারে বিশ্বাসী। অবিলম্বে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরত আনতে হবে বলে জানান মমতা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য রাজ্যকে শক্তিশালী করা দরকারও বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের ব্যাপারে বার বার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী মমতা জানান, বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম, অরুণাচলের মতো রাজ্যে তৃণমূল ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দক্ষিণ ও উত্তর ভারতে কোন কোন কেন্দ্রে তৃণমূল লড়বে সে ব্যাপারে অণ্ণার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এ দিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
|
পদত্যাগ করলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি
সংবাদ সংস্থা |
লোকসভায় তেলঙ্গানা বিল পাশের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি। বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য ও সীমান্ধ্রের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। এর পর সকাল প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন কিরণকুমার। এ দিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যে ভাবে তেলঙ্গানা বিলটি পাশ করানো হয়েছে তা ‘অগণতান্ত্রিক’।” এরই প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল ই এস এল নরসিংহের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন কিরণকুমার রেড্ডি।
এর পর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তেলঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারেন।
এ দিকে, রাজ্যসভায় তেলঙ্গানা বিলটি পেশের সময় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেক্রেটারি জেনারেলকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে টিডিপি সাংসদদের বিরুদ্ধে। এই কারণে এ দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করা হয়।
|
স্বেচ্ছাবসরের আর্জি মেনে গুরুদাসকে অব্যাহতি দলের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দীর্ঘ ২৫ বছরের সংসদীয় রাজনীতির ইনিংসে দাঁড়ি টেনে দেওয়ার সিদ্ধান্তই পাকা হল! বর্ষীয়ান সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের ভোটে আর না দাঁড়ানোর আর্জি মঞ্জুর করলেন সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার ফলে ভোটের আগেই আগামী লোকসভায় বামেদের হারাতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রশ্নে মুখর এক প্রতিনিধিকে। দলের প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এ ভাবে স্বেচ্ছাবসরের নজির দেশের সংসদীয় রাজনীতিতে বিরল।
এ বার লোকসভা ভোটে গুরুদাসবাবু যে প্রার্থী হতে না চেয়ে দলের কাছে স্বেচ্ছাবসরের আর্জি জানিয়েছেন, আনন্দবাজারে সে খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরেও সিপিআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য ঘাটাল আসনে তাঁর নাম রেখেই প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছিলেন দিল্লিতে। সংসদের অধিবেশনের ফাঁকেই বৈঠকে বসেছিল সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী। সেখানে ওই প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনার সময়ে গুরুদাসবাবু ফের জানান, তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিতে চান। দলের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন এমন অবস্থান নিচ্ছেন, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। প্রবীণ সাংসদ জানান, ২৫ বছর সংসদের দুই কক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার পরে আর ওই ভূমিকায় যাওয়া উচিত নয়। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপিআইয়ের তিনটি আসন মেদিনীপুর, ঘাটাল বা বসিরহাট, কোথাওই যেন তাঁর নাম বিবেচনা করা না হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর নাম বাদ দিয়েই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরির জন্য রাজ্য সিপিআইকে নির্দেশিকা পাঠাতে চলেছে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী। সেই বার্তা বুধবারই কলকাতায় এসে যাওয়ার কথা।
সংসদের অধিবেশনের অবসরে গুরুদাসবাবু এ দিন আনন্দবাজারকে বলেছেন, “মোট ২৫ বছর রাজ্যসভা ও লোকসভায় কাটানোর পরে এই ৭৮ বছর বয়সে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অর্থ হয় না। আমার এই যুক্তি দলীয় নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন। সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি এখন দেশে তৃতীয় বৃহত্তম এবং তার আরও প্রসার ঘটছে। শ্রমিক সংগঠনের কাজেই এর পরে মনোযোগ দিতে চাই।” দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেইমতো আমাদের নতুন নাম বেছে নিতে হবে। এই সপ্তাহেই আমরা ঘাটালের জন্য নতুন প্রার্থী ঠিক করে ফেলতে পারব, আশা করছি।” সিপিআই সূত্রের খবর, মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়কের ঘাটাল থেকে লোকসভার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা। মেদিনীপুরে বর্তমান সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা এবং বসিরহাটে নতুন প্রার্থী নুরুল হুদার নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। |
|
|
|
|
|