একেই ব্রাজিল। তার উপর ঐতিহাসিক মারাকানা। ফুটবলের এই মক্কায় নিজের পায়ে কিক-অফ টেনিস সম্রাটের জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান হয়ে থাকবে। রাফায়েল নাদাল নিজেই জানালেন সে কথা।
ব্রাজিলের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাস্কো ডা গামা ও ফ্ল্যামেঙ্গোর ম্যাচ। এই ম্যাচের কিক অফের জন্য হাজির রিও ডি জেনেইরোর ‘স্পেশাল গেস্ট’ রাফায়েল নাদাল। গোলাপি টি শার্ট ও জিনসে ঝকঝকে নাদাল বলে লাথি মারতেই গ্যালারির দর্শকদের উল্লাসে গমগম করে উঠল গোটা মারাকানা স্টেডিয়াম। ৬৪ বছর আগে তৈরি এই স্টেডিয়াম প্রচুর ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। এমন ঐতিহাসিক জায়গায় কিক-অফ করে বেরিয়ে এসে রোমাঞ্চিত নাদাল বলেন, “দারুণ অভিজ্ঞতা হল। আমি ফুটবলের বড় ভক্ত। আর এটা সারা ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়ামগুলোর একটা। প্রচুর ইতিহাসও রয়েছে এখানে। নতুন করে তৈরি হওয়ার পর দারুণ লাগছে একে দেখতে। বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এমন মাঠে এসে কিক-অফ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের ব্যাপার।” স্পেনের হয়ে গলা ফাটাতে যে বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলে আসতেও পারেন, তাও জানালেন এদিন। |
রিওয় এসেছেন এখানকার এটিপি রিও ওপেন টুর্নামেন্টে খেলার জন্য। এ বারই প্রথম রিওয় হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। গত মাসে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সিঙ্গলস ফাইনালে পিঠের ব্যথার জন্য স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কার কাছে হার মানেন নাদাল। বিশ্রাম নেওয়ার পর গত সপ্তাহে বুয়েনস আইরেসে টুর্নামেন্টে খেলবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু পারেননি। এ বার রিওয় এসেছেন কোর্টে নামার সংকল্প নিয়ে। ব্রাজিলে আগে এলেও রিওয় প্রথম। টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগেই চলে এসেছেন এখানে। ব্রাজিলের সেরা শহরে এসে শুধু যে প্র্যাকটিসে মজে রয়েছেন, তা নয়। চুটিয়ে মজাও করছেন। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটেও ঘুরছেন তিনি। সমুদ্র সৈকতে ছবি তুলে তা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টও করেন রাফা। সঙ্গে লিখেছেন, “বন্ধুদের সঙ্গে রিও উপভোগ করছি। এই শহরে অবশ্যই একবার ঘুরে যান।”
গত সপ্তাহে বুয়েনস আইরেসে খেলতে না পারায় বেশ হতাশ নাদাল জানিয়েছেন, “ওখানে খেলব ভেবেছিলাম। কিন্তু না পারায় হতাশ। আশা করি রিওর টুর্নামেন্টে ভাল খেলব। ব্রাজিলে বরাবরই ভাল খেলি। তবে রিওয় প্রথমবার। তাও আবার ক্লে কোর্ট। আশা করি খারাপ হবে না।” |