শার্লকাচ্ছন্ন |
বেকার স্ট্রিটের বিশ্ববিখ্যাত গোয়েন্দা। নতুন অবতারে। নতুন সরঞ্জামে। মগজাস্ত্রের
সেই সেক্স অ্যাপিলে ফের তোলপাড় দুনিয়া। লিখছেন প্রিয়দর্শিনী রক্ষিত |
ধুলোমাখা বই থেকে চকচকে ডিভিডি। দাদুর আলমারি থেকে নাতির আই-প্যাড। জেনারেশন থেকে জেনারেশনে তাঁর অবাধ বিচরণ।
গোয়েন্দা-গ্রহের ধ্রুবতারা। বাঙালি নন, কিন্তু বাঙালি মননে অনায়াসে থাকেন। বাংলা কেন, গোটা পৃথিবীর গোয়েন্দাকুলের প্রপিতামহ।
তিনি শার্লক হোমস। ২০১৪-তেও যাঁকে পাওয়া যাচ্ছে ২২১বি বেকার স্ট্রিটে! |
পরিবর্তন এবং প্রত্যাবর্তন |
জন্মের একশো সাতাশ বছর পরেও শার্লকের ক্যারিশমায় এতটুকু মরচে পড়েনি। যদিও বিবর্তন হয়েছে বহু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হোমসকে এক বার ‘আধুনিক’ করা হল। বছর পাঁচেক আগে মেনস্ট্রিম হলিউডে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের চেহারায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ম্যাডোনার প্রাক্তন স্বামী গাই রিচি-র হাত ধরে। আমেরিকায় তার পরপরই এক টিভি সিরিজে নিউইয়র্কে আস্তানা বাঁধা হোমসের সহকারী হিসেবে আবির্ভূত জন নয়, জোন ওয়াটসন। পুরুষ নন, ইনি মহিলা। |
পেন ড্রাইভ থেকে থিম পার্ক |
কিন্তু উপরের কোনওটাই বোধহয় এতটা স্বতন্ত্র নয়, যতটা বিবিসি-র সংস্করণ। বছর চারেক আগে শুরু টিভি সিরিজ ‘শার্লক’। আর প্রথম থেকেই টিআরপি মগডালে। সবচেয়ে মজার, সিরিজটা এখন টিভিতে দেখানোই হচ্ছে না। তবু তার জনপ্রিয়তা কমার লক্ষণ নেই। কী রকম? “টিভিতে শো-গুলো দেখেছি। কিন্তু এটা এমন জিনিস যে এক বার দেখে সাধ মেটে না। তাই প্রত্যেকটা সিজন ডাউনলোড করেছি। প্রথম দুটো সিজন তো এখন মুখস্থ হয়ে গিয়েছে!” স্বগতোক্তি রেশমি চৌধুরীর। তাঁর বন্ধু স্বাগত বসু-ও বলছেন, “টিভি-তে সিরিজটা মিস করে গিয়েছিলাম। তাই রাত জেগে টরেন্টে ডাউনলোড করে দেখলাম সব ক’টা এপিসোড।” শুধু নিজে দেখা নয়, অফিস কলিগদের চাহিদা মেটাতে এক সপ্তাহ ধরে চলেছে পেন-ড্রাইভ চালাচালি। “রীতিমতো ড্রাগ পেডলার মনে হচ্ছিল নিজেকে!” হাসতে হাসতে বলেন স্বাগত। সত্যি, মাদকের চেয়ে বোধহয় কোনও অংশে কম নেশা নয় এই সিরিজ ঘিরে। |
|
শার্লক সিরিজের ‘আ স্ক্যান্ডাল ইন বেলগ্রেভিয়া’ পর্বে লারা পালভার-বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ |
শার্লকের রিওয়াচ ভ্যালু কোন পর্যায়ে গিয়েছে, বোঝা যাবে ইউ-টিউবে সিরিজ সংক্রান্ত সব ভিডিও ‘ভিউ’-এর সংখ্যা দেখলেও। আইএমডিবি-তে রেটিং দশে ৯.৩। রটেন টমেটোজ-এ ৯৭ শতাংশ। তৃতীয় সিজন শুরুর আগে সাত মিনিটের ‘টিজার ট্রেলার’-এ হিটের সংখ্যা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া ষাট লাখ! আই ফোন অ্যাপস? সেটাও পিছিয়ে নেই। পাঁচে তার রেটিং সাড়ে চার। গত জানুয়ারিতে তৃতীয় সিজনের শেষ এপিসোড সম্প্রচারের এক মাসও কাটেনি। এখনও টরেন্ট থেকে সেটা ডাউনলোড করে ফেলেছেন এক লাখেরও বেশি ভক্ত।
আরও আছে। চলতি বছরের শেষ দিকে দুই মহাদেশ জুড়ে বসতে চলেছে শার্লক কনভেনশন। পরিকল্পনায় আছে বিশেষ থিম পার্কও। অনলাইন সাইটে হইহই করে বিক্রি হচ্ছে শার্লক মার্চেন্ডাইজ টি শার্ট, ব্যাজ, কি রিং, পোস্টার, কী নেই! |
ব্রেনি ইজ দ্য নিউ সেক্সি |
বিবিসি-র শার্লক অতি আধুনিক। যুগোপযোগী। তাঁর হাতে কখনও ব্ল্যাকবেরি, কখনও আই-ফোন। আছে ল্যাপটপ, ব্যবহার করেন জিপিএস। আর মূল সৃষ্টির সঙ্গে এই সিরিজের সম্ভবত সবচেয়ে বড় তফাত, এখানে কিংবদন্তি ডিটেকটিভকে আঁকা হয়েছে যৌনতার তুলির টানে। তাই এই শার্লকের ট্যাগলাইন ‘ব্রেনি ইজ দ্য নিউ সেক্সি!’
ব্রেনি আর সেক্সির অপ্রত্যাশিত যে মোহনার নাম বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। স্যর ডয়েলের বর্ণনায় যিনি ছিলেন রুগ্ণ, প্রায় মধ্যবয়স্ক এবং সেক্স থেকে সাতশো হাত দূরে, এই সিরিজে সেই শার্লক হোমস হয়ে দাঁড়িয়েছেন মূর্তিমান সেক্স আইকন। পোর্সিলিনের মতো মসৃণ, দুধ-সাদা শরীর আঁকড়ে থাকা স্যুট আর কলার-তোলা কালো ট্রেঞ্চকোট। কখনও আবার ফ্যানডমের মহিলা সদস্যদের বুকে ঝড় তুলে ২২১বি বেকার স্ট্রিট থেকে শার্লক বেরিয়ে পড়েন শুধু একটা সাদা চাদর পরে! আইরিন অ্যাডলারের সঙ্গে তাঁর মগজ-ডুয়েল আষ্টেপৃষ্ঠে মোড়া থাকে যৌনতার উত্তেজক ভেলভেটে। কখনও অনাবৃত আইরিনের ভাইটাল স্ট্যাটস সঠিক ‘গেস’ করে গোপন ভল্টের কম্বিনেশন ধরে ফেলেন শার্লক। রহস্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে অনায়াসে বান্ধবী আমদানি করেন। ওয়াটসন বা মোরিয়ার্টির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে থাকে সমকামিতার সূক্ষ্ম ছোঁয়া।
সেপিওসেক্সুয়্যালিটির চলমান ম্যানুয়াল এই শার্লক। মগজাস্ত্রই যাঁর সবচেয়ে বড় সেক্স অ্যাপিল। আর তাই তিনি ‘থিঙ্কিং মাস’-এর অন্যতম সেক্স আইকন। শোনা যাক অনিন্দিতার কথা। “হি-ম্যান টাইপের মাস্ল-সর্বস্ব পুরুষ আমার কোনও কালেই পোষায় না। সলমনের চেয়ে আমির তাই বেশি প্রিয়। আর বেনেডিক্টের শার্লক আমার স্বপ্নের পুরুষ। বুদ্ধির চেয়ে বড় সেক্স অ্যাপিল কিছু হতে পারে?” |
বেন-অ্যাডিক্ট |
‘শার্লক’-এর পরিচয়পত্র যদি কেউ হয়ে থাকেন, তো তিনি এই ব্রিটিশ একদা-অখ্যাত অভিনেতা। আসল হোমসের টুপি-পাইপের চেয়ে কোনও অংশে কম জনপ্রিয় নয় কাম্বারব্যাচের শার্লকের লম্বা ট্রেঞ্চকোট আর নীল মাফলার। মেঘ-গর্জনের মতো কণ্ঠস্বর, চাহনির তীব্রতা, তাতে অবিশ্বাস্য আইকিউ-এর ঝকঝকে প্রতিফলন, নিজের পারিপার্শ্বিক নিয়ে চরম উন্নাসিকতা, লাইট-স্পিডে দৌড়নো চিন্তাভাবনা শার্লকোচিত সব কিছু নতুন, অতি-আকর্ষণীয় মোড়কে তুলে ধরেছেন বেনেডিক্ট। হালফিলে বেনেডিক্ট ‘দ্য ফিফ্থ এসেস্ট’, ‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’ এই সব হলিউডি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু বিবিসি সিরিজের আগে ক’জন তাঁর নাম জানত, বলা মুশকিল। শার্লকোত্তর বেনেডিক্ট জেন ওয়াই-এর অন্যতম হার্টথ্রব। নমুনা তাঁর নামে তৈরি শ’খানেক ফেক টুইটার প্রোফাইল। নমুনা ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তাঁকে উদ্দেশ্য করে আছড়ে পড়া কোটি কোটি ফ্যানের আকুতি। নমুনা তাঁকে কেন্দ্র করে তৈরি ফ্যান ফিকশনের সমুদ্র। নমুনা তাঁকে ঘিরে ভক্তদের নিজস্ব অণুবিশ্ব তৈরি করে ফেলা, তাঁর নামের সঙ্গে মিল রেখে নিজেদের ‘কাম্বারবিচ’ বলে ডাকা।
“প্রথমে একটু ধাক্কা খেয়েছিলাম। শার্লক যে এত কমবয়সি আর এত সেক্সি হতে পারে, ভাবতেই পারিনি। কিন্তু এখন বেনেডিক্ট ছাড়া কাউকে ভাবতে পারি না শার্লকের চরিত্রে। বইগুলো পড়ার সময়ও এখন বেনেডিক্টের চেহারাটা ভেসে ওঠে,” এক নিঃশ্বাসে বলে যান মধুরিমা সেনগুপ্ত। তাঁর শার্লক প্রেমের নমুনা মধ্যরাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে সিরিজের নতুন নতুন এপিসোড দেখা। কাকভোর পর্যন্ত কেটে যায় তাঁর শার্লকের অ্যাপিলে ভেসে গিয়ে। |
ওয়াটসনও বুদ্ধি ধরেন! |
তাই বলে সিরিজটা মোটেও শুধুই বুদ্ধিদীপ্ত যৌনতার বিচ্ছুরণ নয়। কোথাও স্যর কোনান ডয়েলকে বিকৃত করা হয়নি। বরং তাঁর সৃষ্টির মূল মেজাজটা একই রেখে দেওয়া হয়েছে।
হোমসের ঠিকানা ২২১বি বেকার স্ট্রিটই আছে। তবে ড. ওয়াটসনের সঙ্গে শেয়ার করা সেই ফ্ল্যাটে হোমস পাইপ খান না। হাতে নিকোটিন প্যাচ সেঁটে বুদ্ধির গোড়ায় ‘ধোঁয়া’ দেন।
আফগানিস্তান যুদ্ধ-ফেরত হোমস-সঙ্গী ওয়াটসন তাঁর বন্ধুর রহস্য-উন্মোচন নিয়ে গল্প লেখেন না, ব্লগ আপডেট করেন। আইরিন অ্যাডলারের বাড়ি শার্লক হোমস যান ঠিকই। কিন্তু আপত্তিকর প্রেমপত্র নয়, হন্যে হয়ে খোঁজেন ক্যামেরা ফোনে বন্দি বিতর্কিত সব ছবি।
এত বদলের পরেও সিরিজটার বিরুদ্ধে বিশুদ্ধবাদীরা ‘চলছে না, চলবে না’ আওয়াজ তোলেননি। আসলে বইয়ের পাঠকের সঙ্গে অদ্ভুত একটা যোগাযোগ বরাবর রেখে গিয়েছে এই সিরিজ। এপিসোডের নামগুলো এমন ভাবে বাছা হয়েছে, যা দেখলেই বইয়ের গল্পটা মনে পড়ে যাবে। যেমন ‘আ স্টাডি ইন স্কার্লেট’ হয়ে গিয়েছে ‘আ স্টাডি ইন পিঙ্ক’, ‘আ স্ক্যান্ডল ইন বোহেমিয়া’ এখানে ‘আ স্ক্যান্ডাল ইন বেলগ্রেভিয়া’। কলকাতা লিটারেরি মিট-এর অন্যতম উদ্যোক্তা মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “সিরিজটার আসল হিরো কিন্তু স্ক্রিপ্ট। এত প্রিয় একটা চরিত্রকে এত অনায়াসে আধুনিক দুনিয়ায় এনে ফেলা, সত্যিই অসাধারণ! সবচেয়ে বড় কথা, স্যর ডয়েলের বইয়ের এসেন্সটা ধরে রেখেছে এই সিরিজ। অন্যান্য স্ক্রিপ্ট-রাইটারদের কিন্তু শার্লক দেখে শেখা উচিত।” |
আসলে প্রযোজকদের ভাবনার মৌলিকতা |
কার্ডিফ-গামী ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করতেন ‘শার্লক’-এর দুই স্রষ্টা স্টিভন মফ্যাট এবং মার্ক গ্যাটিস। তাঁরা তখন অন্য এক টিভি শো নিয়ে ব্যস্ত। যার শু্যটিং চলছিল কার্ডিফে। অসংখ্য ট্রেন যাত্রার আড্ডায় উঠে এল স্যর ডয়েলের সৃষ্টিকে নতুন চেহারায় পেশ করার আইডিয়া। তার পর বিবিসি-র জন্য তৈরি প্রথম পাইলট এপিসোড নাকচ হয়ে যাওয়া। মিডিয়ায় জল্পনা, সিরিজটা চূড়ান্ত ফ্লপ হতে চলেছে। সেখান থেকে একটা নয়, তিন-তিনটে সিজন। দেড় ঘণ্টার ন’টা এপিসোড। জল্পনা ভুলে ওই একই মিডিয়ার ঝাঁপিয়ে পড়া। দুটো সিজনের মাঝের সময়ে প্রায় দু’বছর ভক্তদের অধীর অপেক্ষা, অসংখ্য ফ্যান সাইট, ফ্যান ফিকশন কী হয়নি! শার্লক-সমুদ্রের ব্যাপ্তি দেখে অবাক খোদ ‘মফটিস’ জুটিই।
সিরিজের জনপ্রিয়তার আরও একটা কারণ হয়তো, এই শার্লক একমাত্রিক সত্যান্বেষী নন। তিন মরসুম পেরিয়ে আসা ইনি দূরের নীহারিকাও নন, দর্শকের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই। শার্লকের ‘সায়েন্স অব ডিডাকশন’ এখানে ঘটে যাচ্ছে দর্শকের চোখের সামনে। একটা টাটকা মৃতদেহ বা ড্রয়িংরুমে বসা নতুন মক্কেলকে দেখে হোমস কী কী ‘ডিডিউস’ করছেন, সেগুলো এখানে আবছা নয়। কখনও একটা আংটি দেখে তিনি বলে দিচ্ছেন, তার মালকিন নিয়মিত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হন। আবার কখনও মোবাইল ফোনের দিকে তাঁর এক ঝলকে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ফোনের মালিকের মদ্যপানের অভ্যেস। আর এই থট প্রসেস সরাসরি ফুটে উঠছে স্ক্রিনে। দর্শক দেখতে পাচ্ছেন, ডিডাকশনের সিঁড়িগুলো বুঝতে পারছেন। শুধু তাই নয়, সময় বিশেষে দর্শক ঢুকে যাচ্ছেন খোদ হোমসের মস্তিষ্কে যার নাম তিনি নিজেই দিয়েছেন ‘মাইন্ড প্যালেস’। যে রাজপ্রাসাদের অন্দরমহলে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে হোমসের ডিডাকশনের অলিগলির। |
আয়্যাম শার্লকড |
তাই ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ড থেকে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও শার্লক হোমস ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। হয়তো বা আরও বেশি জনপ্রিয়। লিঙ্গ নির্বিশেষে। বছর ছাব্বিশের শৌভিক রায় যেমন শার্লক সিরিজের ইতিবৃত্তান্ত মোটামুটি গুলে খেয়েছেন। কোন জিনিসটা সবচেয়ে ভাল লাগে এই সিরিজে? “আমার দেখা শার্লক হোমসের এটাই প্রথম আধুনিক সংস্করণ। ভাবতেই পারিনি দু’হাজার দশের লন্ডনে এ ভাবে এনে ফেলা যায় শার্লককে। আর সিরিজটার এডিটিং অসাধারণ। কেউ কাউকে টেক্সট মেসেজ পাঠালে, সেটা পর্যন্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠছে। শার্লকের মাথায় কী কী চলছে, সেটা খুব সিম্পল কিন্তু ভীষণ পাওয়ারফুল ভাবে দেখানো হচ্ছে। শার্লক আর জন ওয়াটসনের প্রথম সাক্ষাতের সিনটা তো ওফ্।”
তাঁর সৃষ্ট মহানায়কের আধুনিক সংস্করণের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতের উপায় নেই। কিন্তু দিব্যদৃষ্টিতে তাঁর সৃষ্টির এই সেক্সি, সুপারহিরো-র রূপ দেখতে পেলে স্যর কোনান ডয়েলও বোধহয় আইরিন অ্যাডলারের ফোনের পাসওয়ার্ডটা স্বগতোক্তির মতোই বলে ফেলতেন।
‘আয়্যাম শার্লক্ড’! |
হোমসিয়ানা |
• সবচেয়ে বেশি অভিনীত সিনেমা চরিত্র হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বারবার উঠে এসেছে শার্লক হোমস। দুশোরও বেশি ফিল্মে সত্তর জনেরও
বেশি অভিনেতা হোমস হয়েছেন
• সিনেমায় প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯০০ সালে। নির্বাক চলচ্চিত্র থেকে বিদেশি ভাষার মিনি সিরিজ, সবই হয়েছে শার্লককে নিয়ে। ১৯২৯-এ প্রথম সবাক ছবিতে আসে সে
• ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৬ চোদ্দোটা হলিউড ফিল্মে শার্লক হোমসের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বেসিল র্যাথবোন
• ১৯৭৬-এ ‘শার্লক হোমস ইন নিউইয়র্ক’-এ ডিটেকটিভের চরিত্রে দেখা দিয়েছিসেন জেমস বন্ড খ্যাত রজার মুরও |
শার্লকের ওয়ার্ড্রোব |
• বিবিসি সিরিজের শার্লক টাই পরে না। ‘পলস স্মিথ’য়ের স্কার্ফ দু’ ভাঁজ করে গলায় জড়িয়ে নেয়
• পুরনো লংকোট আজও আছে। কিন্তু দাম এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা
• ‘দলচে অ্যান্ড গাবানা’ স্লিম শার্ট
• প্রথম সিরিজে ব্ল্যাকবেরি থাকলেও দ্বিতীয় সিরিজ থেকে আইফোন
• তথাকথিত অক্সফোর্ড জুতো নয়। ‘ইভ সঁ লর রন’য়ের ফিতে বাঁধা জুতো |
|
|