টাটকা খবর
তুমুল প্রতিবাদের মধ্যে তেলঙ্গানা বিল পাশ
তুমুল বিক্ষোভ ও হট্টগোলের মধ্যেই মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হল তেলঙ্গানা বিল। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে দেশের ২৯তম রাজ্যের তকমা পেতে চলেছে তেলঙ্গানা। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়পক্ষই এই বিলকে সমর্থন করেছে। বিল পাশে সমর্থন জানান বিরোধী সভানেত্রী সুষমা স্বরাজও। কিন্তু বিল পাশকে ঘিরে কার্যতই এ দিন যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় লোকসভার কক্ষ। তাত্পর্যপূর্ণভাবে লোকসভা থেকে টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ দরজার আড়ালে ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বিল। বিল পাশের প্রক্রিয়ায় স্বভাবতই সরব হয়েছেন তেলঙ্গানা বিরোধী পক্ষের সাংসদেরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম, তৃণমূল ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদেরা। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে ভাবে এই বিল পাশ হয়েছে তা অবৈধ। বিল পাশের প্রক্রিয়ায় তিনি মর্মাহত, তাঁর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। সূত্রের খবর, তেলঙ্গানা বিলের বিরোধিতা করে বুধবার তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিল পাশের সমর্থনে উত্সবমুখর হায়দরাবাদ। ছবি: রয়টার্স।
তেলঙ্গানা বিল নিয়ে গত সপ্তাহেই বেনজির ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল লোকসভা। মরিচ-কাণ্ডের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কয়েক জন সাংসদ। তেলঙ্গানা বিলের পথ মসৃণ করে কংগ্রেসই ছক কষে এই হাঙ্গামা বাধিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি। বিল পাশের বিরোধিতা করে আগামিকাল অন্ধ্রপ্রদেশ বনধের ডাক দিয়েছেন তিনি। অন্ধ্রের মানুষের সমর্থন ছাড়াই বিল পাশ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জানান, ‘দিনের আলোয় গণতন্ত্রের হত্যা হল।’ অন্য দিকে সীমান্ধ্রের কংগ্রেস নেতারা রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করে নতুন দল গঠনের চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এই নতুন দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন কিরণকুমার রেড্ডি।

রাজীব হত্যায় ফাঁসি মকুব তিন খুনির, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজীব গাঁধী
মৃত্যুদণ্ড নয়, রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাণভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তে দীর্ঘ দেরির কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ওই তিন আসামি— পেরারিভালান, সান্থন ও মুরুগান-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার তাত্পর্যপূর্ণ এই রায় দিয়েছে। তবে তাদের মুক্তির বিষয়টি তামিলনাড়ু সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৯৯১ সালের রাজীব হত্যাকাণ্ডে ১৯৯৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ওই তিন জন। এর দু’বছর পর তারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন জানায়। কিন্তু সেই আর্জি বিবেচনা করতে কেন্দ্র ১১ বছর সময় নেয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তে অকারণে বেশি দেরি হলে ফাঁসি মকুব হতে পারে। গত ২১ জানুয়ারি ১৫ জন আসামির ফাঁসি মকুবও করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।ওই তিন খুনিও কেন্দ্রের অকারণ দেরির কথা বলেই ফাঁসি মকুবের আর্জি জানিয়েছিল।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজা মকুব না করার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জোর সওয়াল করা হয়। পেরারিভালান, সান্থন ও মুরুগান তাদের আবেদনে জানিয়েছিল, ফাঁসির আসামি হিসেবে জেলে থাকার ফলে প্রবল মানসিক চাপে রয়েছে তারা। ফলে, তাদের ফাঁসি মকুব করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রের হয়ে অ্যাটর্নি-জেনারেল জি ই বাহনবতী ওই সওয়ালে জানিয়েছিলেন, ওই তিন আসামি তাদের আর্জিতে জেলের মধ্যে গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে মনোকষ্টে ভোগার কথা খাটছে না। ওই তিন আসামির ফাঁসি মকুব করার তাই কোনও যুক্তি নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়ে, বিষয়টিকে অন্য ভাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ওই তিন আসামি গঠনমূলক কাজে অংশ নিয়েছে। তা থেকে এও মনে করা যেতে পারে যে, তারা দাগি অপরাধী নয়। এই বিষয় থেকে তারা যে মনোকষ্টে নেই এটা বোঝা যায় না।
এর পরই এ দিনের তাত্পর্যপূর্ণ রায় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। তবে কংগ্রেস এই রায় নিয়ে এখনও মুখ খুলতে নারাজ। কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজীব শুক্ল জানিয়েছেন, রায়ের প্রতিলিপি না দেখে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

ড্র হল ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় টেস্ট
বিশ্বে চব্বিশতম এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে প্রথম ত্রিশতরানের নজির গড়লেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে আজ দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে ব্যক্তিগত প্রথম ত্রিশতরান করেন তিনি। কিন্তু তার পর এর সঙ্গে মাত্র ২ যোগ করে ৩০২ রানে আউট হন তিনি। অন্য দিকে, জীবনের প্রথম টেস্টে শতরান করলেন জিমি নিসম। ১৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮ উইকেটে ৬৮০ রান করে ডিক্লেয়ার করে কিউয়িরা। ৪৩৪ রানের লিড নেয় তারা। শেষ দিনে ভারতকে জিততে হলে ৪৩৫ রানের কঠিন লক্ষ্যের সামনে ফেলল কিউয়িরা।

শতরানের পর কোহলি। ছবি: এএফপি।

ত্রিশতরানের পর ম্যাকালাম। ছবি: রয়টার্স।

অন্য দিকে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারেই দুই ওপেনার শেখর ধবন ও মুরলি বিজয়কে হারায় ১০ রানেই। পরে কোহলি নেমে পরিস্থিতির হাল ধরেন। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন পূজারা। কিন্তু ৫৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ রান করে ফিরে যান চেতশ্বর পূজারা। ব্যক্তিগত সপ্তম শতরান করে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ইনিংস-এর শেষ অবধি কোহলিকে সঙ্গ দিয়ে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মাও। দিনের শেষে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান করে ভারত।

প্রথম ইনিংস
নিউজিল্যান্ড: ১৯২
ভারত: ৪৩৮


দ্বিতীয় ইনিংস

নিউজিল্যান্ড
ফুলটন এলবিডব্লিউ জাহির ১
রাদারফোর্ড ক ধোনি বো জাহির ৩৫
উইলিয়ামসন ক ধোনি বো জাহির ৭
লাথাম ক ধোনি বো শামি ২৯
অ্যান্ডারসন ক অ্যান্ড বো জাডেজা ২
ম্যাকালাম ক ধোনি বো জাহির ৩০২
ওয়াটলিং এলবিডব্লিউ সামি ১২৪
নিসম ন.আ. ১৩৭
সাউথি ক পূজারা বো জাহির ১১
ওয়াগনার ন.আ. ২
অতিরিক্ত ৩০
মোট ৬৮০-৮ ডিক্লেয়ার।
পতন: ১, ২৭, ৫২, ৮৭, ৯৪, ৪৪৬, ৬২৫, ৬৩৯।
বোলিং: ইশান্ত ৪৫-৪-১৬৪-০, জাহির ৫১-১৩-১৭০-৫, শামি ৪৩-৬-১৪৯-২,
জাডেজা ৫২-১১-১১৫-১, রোহিত শর্মা ১১-০-৪০-০, কোহলি ৬-১-১৩-০,
ধোনি ১-০-৫-০, ধবন ১-০-৩-০

ভারত
মুরলি বিজয় ক অ্যান্ডারসন বো সাউথি ৭
ধবন এলবিডব্লিউ বোল্ট ২
পূজারা ক ওয়াটলিং বো সাউথি ১৭
কোহলি ন.আ. ১০৫
রোহিত ন.আ. ৩১
অতিরিক্ত
মোট ১৬৬-৩।
পতন: ১০, ১০, ৫৪।
বোলিং: বোল্ট ১৬-৫-৪৭-১, সাউথি ১৬-৩-৫০-২,
ওয়াগনার ১১-৩-৩৮-০, নিসম ৫-০-২৫-০, অ্যান্ডারসন ৪-১-৬-০।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.