টুকরো খবর
বাড়ল শিক্ষা ঋণের সুদে ছাড়ের পরিধি
শিক্ষা ঋণে সুদে ছাড় দেওয়ার প্রকল্পের পরিধি বাড়ালেন পি চিদম্বরম। বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ৩১ মার্চের আগে যাঁরা শিক্ষা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদেরও সুদ ছাড় দেওয়া হবে। এর ফলে ৯ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে। ২০০৯-১০ সালের বাজেটে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে সুদ ছাড় দেওয়ার প্রকল্প চালু করেন। ওই প্রকল্পের আওতায় ২০০৯ সালের ৩১ মার্চের পর যাঁরা শিক্ষা ঋণ নিয়েছেন, কেবল তাঁদেরই আনা হয়েছিল। এ দিন চিদম্বরম বলেন, “২০০৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁরা ওই সময় থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া ঋণের উপরে সুদ ছাড়ের সুবিধা পাবেন।” এই ছাড় দিতে খরচ হবে ২৬০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের শর্ত, পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর চাকরি পেলে ঋণ পরিশোধ করা শুরু করতে হবে। চাকরি না পেলেও পড়া শেষ করার পরে ১ বছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করলেও চলবে। এই ব্যবস্থা ঋণ শোধ পরিশোধ স্থগিত রাখা (‘মোরিটোরিয়াম’) বলে পরিচিত। যে সব ঋণগ্রহীতার বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে, তাঁদের ‘মোরিটোরিয়াম’-এর সময়ের জন্য সুদও গুনতে হবে না। নতুন ব্যবস্থায় যাঁরা ঋণ আংশিক পরিশোধ করেছেন, সুদ ছাড় বাবদ টাকা তাঁদের বাকি ঋণ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। আর কেউ তা পুরোপুরি পরিশোধ করে থাকলে ওই টাকা তিনি ফেরত পাবেন।

জঙ্গির গুলিতে জখম ব্যবসায়ী
জঙ্গির ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠী যুক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কোকরাঝাড় জেলার কাজিগাঁও থানার পাইকানগুড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, আহত ওই যুবকের নাম আইনাল হক। তিনি শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন বিকেলে পেশায় কৃষক ওই যুবক এক বন্ধুর সঙ্গে কাজিগাঁও গ্রাম থেকে ফেরার পথে গুলিবদ্ধ হন। চার জন সশস্ত্র জঙ্গি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ওই গ্রামবাসীদের লক্ষ করে একে ৪৭ রাইফেল থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে জঙ্গিরা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিত সিং পানেস্বর বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি (সংবিজিত) জঙ্গি যুক্ত। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

ডাকঘরে নয়া প্রযুক্তি শুরু আগামী বছরেই
২০১৫ থেকে দেশের মোট ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ডাকঘরেই শুরু হয়ে যাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। সোমবার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এ কথা জানিয়ে বলেন, আধুনিকীকরণ প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪,৯০৯ কোটি টাকা। ডাকঘরগুলিকে দক্ষ করে তোলা, লেনদেনে গতি আনা ও কাজে স্বচ্ছতা বাড়ানোই লক্ষ্য। প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির সায় পেয়েছিল ২০১২-র নভেম্বরেই। এর আওতায় ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫ হাজার ডাকঘরে কম্পিউটার বসেছে। আর গ্রামাঞ্চলের ডাকঘরগুলিতে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করার জন্য সরবরাহ করা হবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার যন্ত্র। যার মধ্যে থাকবে স্মার্ট কার্ড রিডার, সোলার প্যানেল, বায়োমেট্রিক রিডার, থার্মাল প্রিন্টার ইত্যাদি।

কমিশনার মারিয়া
মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার হিসেবে রাকেশ মারিয়ার যাত্রা শুরু হল বিতর্ক দিয়ে। মারিয়াকে কমিশনার করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছুটিতে গিয়েছেন অন্য দুই আইপিএস অফিসার জাভেদ আহমেদ ও বিজয় কামলে। পুলিশ সূত্রের খবর, মারিয়ার সিনিয়র হিসেবে তাঁদেরই ওই পদ পাওয়ার কথা ছিল বলে মহারাষ্ট্র সরকারকে জানিয়েছেন ওই দুই অফিসার। ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের তদন্তে খ্যাতি অর্জন করেন মারিয়া। তিনিই বিস্ফোরণের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী টাইগার মেমনের যোগ আবিষ্কার করেন। ২৬/১১-এর সময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মারিয়া। তাঁকে কমিশনার পদ করা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের শরিক কংগ্রেস ও এনসিপি-র মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল বলে খবর।

প্রেক্ষাগৃহে খুন
প্রেক্ষাগৃহে ঝামেলার জেরে একটি ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্ণ ওয়াগ নামে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুন্ডে’ দেখতে গিয়েছিল ইনদওরের পতনিপুরা এলাকার আস্থা টকিজ-এ। এক ব্যক্তি তার সিটে পা রাখায় আপত্তি করেছিল সে। কর্ণের আপত্তিতে খেপে ওঠে ওই ব্যক্তি। তার পরেই তিন সঙ্গী মিলে কর্ণকে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের করে নিয়ে যায়। কয়েক বার ছুরি মেরে কর্ণকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারা প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে কর্ণের বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই চার জনের মধ্যে এক জনকে জনতা তাড়া করে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার নাম আকাশ শর্মা। বাকি তিন জন পলাতক।

কোডনানির স্বস্তি
অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ল গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত মায়া কোডনানির। গত নভেম্বরে গুজরাত হাইকোর্টে শারীরিক কারণ দেখিয়ে তিন মাসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার আবেদন জানায় কোডনানি। হাইকোর্ট সায় দেয়নি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কোডনানি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। তার পরেই সাত দিন জামিনের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট।

কথা রেখে তিন দাওয়াই
মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গত বারের মতো এ বারও নির্ভয়া-তহবিলে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। গত অগস্টে চালু দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক পুরস্কার প্রকল্প ইতিমধ্যেই সফল। তা চালিয়ে যেতে এনএসডি ট্রাস্টে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রের। তা ছাড়া, সংশয় সত্ত্বেও ৫৭ কোটি আধার নম্বর দিয়েছে সরকার।

বরাদ্দে সিবিআই
অন্তর্বর্তী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল সিবিআইয়ের জন্যও। তাদের জন্য অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বরাদ্দ করেছেন ৫২০.৫৬ কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। মূলত সিবিআইয়ের ই-গভর্নেন্স, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ, ভবন নির্মাণ, ফরেন্সিক সাপোর্ট ইউনিট তৈরি ইত্যাদি নানা কাজে ওই টাকা খরচের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আক্ষেপ নিয়ে
বহু চেষ্টা সত্ত্বেও পণ্য পরিষেবা কর ও প্রত্যক্ষ কর বিধি পাশ করাতে পারেনি কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রীর তাই সখেদ অনুরোধ, আগামী দিনে বিরোধী-শাসক ভূমিকায় যাঁরাই থাকুন না কেন, রাজনীতি যেন দেশের অর্থনীতির পথে অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়।

গাড়িতে গতি
স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের জন্য গাড়ি কিনতে বেকার যুবক-যুবতীদের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদানের প্রতিশ্রুতি। এই প্রকল্পে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের আশা, আগামী অর্থবর্ষে অন্তত ৫০ হাজার পরিবারের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।

লুঠ ২২ লক্ষ
সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিন ভেঙে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা লুঠের অপরাধে ধৃত এক যুবক। নাম প্রবীণ কুমার। কার্নালের ঘটনা। ওই এটিএম-এ টাকা ভরার দায়িত্বে যে সংস্থা রয়েছে তাতেই কাজ করত সে। তাই এটিএম মেশিন খোলার কলাকৌশল জানত সে।

সারদা-সমাচার
অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণার জেরে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁদের সুবিধায় এ পর্যন্ত ৪ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তকে আর্থিক সাহায্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও ২ লক্ষকে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.