অর্থমন্ত্রী গাড়ি শিল্পে উৎপাদন শুল্ক উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানোয় শেয়ার বাজার খুশি। এ ছাড়া ঘোষিত অঙ্কের মধ্যে বাজেট ঘাটতি বেঁধে রাখার ফলেও বাজার উৎসাহিত। যদিও সোমবার সেনসেক্স ৯৭ পয়েন্ট উঠেই থেমে যায়। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে দাঁড়ায় ২০,৪৬৪.০৬ অঙ্কে।
যেহেতু এটি ছিল অন্তর্বর্তী বাজেট, তাই অর্থমন্ত্রীর কাছে চমক সৃষ্টির সুযোগ ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বিশেষ করে উৎপাদন শিল্পকে উৎসাহ দিতে উৎপাদন শুল্কে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করেন মন্তী, যার অন্যতম গাড়ি শিল্প। বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কল্লোল দত্ত বলেন, “দেশের আর্থিক বৃদ্ধি তরান্বিত করতে হলে উৎপাদন শিল্পকে চাঙ্গা করতেই হবে। অন্তর্বর্তী বাজেটে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও চিদম্বরম সে চেষ্টাই করেছেন।” |
বিএসই-র সামনে স্ক্রিনে বাজেট প্রদর্শন। ছবি: এফপি। |
চিদম্বরমের আশা, চলতি আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি ৫.৪% হবে। এর ফলে সারা বছরে ওই হার ৪.৯ শতাংশে দাঁড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এই সব তথ্যও শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করেছে।
সম্প্রতি দেশের অন্যতম প্রধান পণ্য বাজার ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জে টাকা মোটানো সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। এ দিন চিদম্বরম ঘোষণা করেন, ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই ফরোয়ার্ড কনট্রাক্টস রেগুলেশন আইনে সংশোধন আনা হবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গ্লোবাল ডিপজিটরি রিসিট (জিডিআর) এবং আমেরিকান ডিপজিটরি রিসিট (এডিআর)-এর বাজার চাঙ্গা করার জন্যও ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এগুলির মাধ্যমে ভারতীয় সংস্থাগুলি ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে শেয়ার ছাড়ে।
বন্ডের বাজার চাঙ্গা করার জন্যও একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কী সেই বিশেষ ব্যবস্থা, সে ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী কিছু বলেননি। তাই ওই ঘোষণাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “কী পদক্ষেপ করা হবে, তা না-বলে ওই ধরনের ঘোষণা অর্থহীন।” |