বহুতল আবাসনের সবচেয়ে উপরের তলার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে ছাদেই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রক। এ জন্য পাইলট প্রকল্প গড়তে কলকাতাকেই বেছে নিয়েছে তারা। সেই পাইলট প্রকল্পের দায়িত্ব বর্তেছে কলকাতার অর্ক রিনিউয়েবল এনার্জি কলেজের উপর।
বহুতলের সবচেয়ে উপরের তলার বাসিন্দারা ছাদের ঠিক নীচে থাকায় রোদের সবচেয়ে বেশি তাপ পান। ফলে অনেকেই উপরের তলায় থাকতে চান না। কারণ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য তাঁদের বেশি খরচ হয়। রোদের সেই বাড়তি তাপকেই কাজে লাগিয়ে ছাদে তাঁদের জন্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার জন্য উৎসাহ দিতে চাইছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে কেন্দ্রীয় অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রকের সচিব এস অগ্নিহোত্রী কলকাতায় তাঁদের ওই পাইলট প্রকল্পের দায়িত্ব দিয়েছে বলে জানান অর্ক রিনিউয়েবল এনার্জি কলেজের অধিকর্তা শান্তিপদ গণ চৌধুরি। তিনি রাজারহাটে গোটা দশেক বহুতলে এই প্রকল্প গড়ার জন্য উদ্যোগী হবেন।
শান্তিপদবাবু জানিয়েছেন, উপরের তলার বাসিন্দাদের বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় পুরোটাই মেটাবে ওই সৌর বিদ্যুৎ। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ নীচের তলাতেও পরবর্তী কালে বিক্রি করতে পারবেন উপরের তলার ওই বাসিন্দারা।
তাঁর দাবি, ওই প্রকল্প বাণিজ্যিক ভাবে সফল হলে নানা সুবিধা মিলবে। প্রথমত, ছাদে সৌর বিদ্যুতের জন্য মডিউল থাকায় রোদের তাপ কম পড়বে। ফলে উপরের তলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের (এসি) জন্য বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। তা হলে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দার বিদ্যুৎ বিলও কমবে। তাঁর দাবি, এই ব্যবস্থার জন্য যে- খরচ হবে তা গড়ে ১১-১২ বছরের মধ্যে উঠে আসবে। |
স্বামীজি-সার্ধশতবর্ষের সমাপ্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
রবিবার, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে।—নিজস্ব চিত্র। |
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন শেষ হল রবিবার। দিনটি শুরু হয় ট্যাবলো ও প্রভাত ফেরি দিয়ে। রাতভর বৃষ্টির মধ্যেও উৎসাহে ভাটা পড়েনি। আশপাশের কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়া, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন। ছাত্রছাত্রীরা কেউ স্বামী বিবেকানন্দ, কেউ রামকৃষ্ণ এবং কেউ সারদাদেবী সেজেছিল। প্রভাত ফেরির পরে সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয় বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী হলে। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিষদীয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমান রাজ্য সরকার রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করেন পার্থবাবু। বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সর্বগানন্দ এবং বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ স্বামী দেবপ্রিয়ানন্দ। নরনারায়ণ সেবার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। |