রাতের আঁধারে চুপিচুপি মাটি মাফিয়ারা ইট ভাটার জন্য ভাগীরথীর পাড়ে মাটি কাটছে। ফলে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের রামনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রামনগর ফুটবল মাঠের দক্ষিণ দিকের চওড়া ভাঙন এলাকার মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। রামনগর শ্মশানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ভাগীরথী গিলতে বসেছে।
এলাকার শ’দুয়েক পরিবারের অভিযোগ, অনেক আগেই কৃষি জমি তলিয়ে গেছে নদীবক্ষে। এ বার বসতবাড়িও ভাঙার উপক্রম। অথচ, কৃত্রিমভাবে তৈরি এই নদী ভাঙন রুখতে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। স্থানীয় মহত্পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষ্ণচন্দ্র হাজরা ও এলাকার বাসিন্দা উত্পল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতিদিন রাতে অবৈধভাবে মাটি কাটছে ভাটা মালিকরা। নদীর পাড় থেকে বসত এলাকার দূরত্ব মেরেকেটে ৭০০ মিটার। ত্র্যস্ত এলাকাবাসী পুলিশ-প্রশাসনকে লিখিতভাবে নালিশ জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’’ স্থানীয় বাসিন্দা অশোক রাজোয়ার ক্ষোভ মিশ্রিত স্বরে বললেন, ‘‘বাড়িঘর ভেঙেছে অনেক আগেই। এ বার আবাদি জমি নদীতে তলিয়ে গেলে আমরা কীভাবে রুটিরুজির সংস্থান করব সেটাই বুঝতে পারছি না। এলাকাবাসীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভকে পাত্তাই দিচ্ছে না প্রশাসন। মানুষ উত্কণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।’’ বেলডাঙা-২ বিডিও অরিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।” আশ্বাসে ক্লান্ত রামনগরবাসী অবশ্য এই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না।
|
নবদ্বীপে বাংলো উদ্বোধনে সুব্রত
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
অনুষ্ঠানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র। |
নবদ্বীপের ফাঁসিতলায় গঙ্গার ধারে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের একটি পরিদর্শন বাংলোর উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রবিবার ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা এবং রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এ দিন সুব্রতবাবু বলেন, “নদিয়া জেলা মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রিয় জেলা হয়ে উঠেছে কাজের গুণে। নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে এই জেলা অন্যতম।” তিনি বলেন, “রাজ্যের আর্সেনিক মানচিত্রে নদিয়ার নাম রয়েছে। তাই জেলার মানুষকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করার দায়িত্বও আমাদের। এখানে গঙ্গার জলকে পরিশ্রুত করে পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হবে।” সুব্রতবাবু বলেন, “যাঁরা আমাদের সমালোচনা করছেন, তাঁদের জন্য বলি- দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।”
|
নওদার আমতলা কলেজের ৩৪ জন ছাত্র পরিষদ সমর্থক তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলার কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর। জানুয়ারিতে কলেজে ৫৯টি আসনের সবক’টিতে জিতেছিল ছাত্র পরিষদ। হুমায়ুন কবীর বলেন, “ছাত্র পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা জেতার সার্টিফিকেট হাতে পায় নি। প্রতিবাদে ওই ৩৪ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছে।” বিধায়ক কংগ্রেসের আবু তাহের খান বলেন, “দু’জনকে টেনে ৩৪ জনের দাবি করছে তৃণমূল।” |