গবেষণাগারেই তৈরি করে ফেলা গিয়েছে কৃত্রিম ফুসফুস! অন্তত এমনই দাবি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের মেডিক্যাল শাখার গবেষকদের।
“বিজ্ঞানের একটা রূপকথাকে বাস্তবে পরিণত করার দিকে এগোচ্ছি আমরা” বললেন গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জোয়ান নিকল্স। প্রাথমিক ভাবে তিনি জানালেন, এই কৃত্রিম ফুসফুস মানুষের বুকে প্রতিস্থাপিত করতে আরও বছর বারোর গবেষণা প্রয়োজন। ইউনিভার্সিটি অব পিটস্বার্গের ম্যাকগোয়ান ইনস্টিটিউট ফর রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ডেপুটি ডিরেক্টর স্টিফেন ব্যাডিলাক এই প্রসঙ্গে জানালেন অন্য সমস্যার কথা। তাঁর মতে, অঙ্গ দানকারী মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে।
তার সমাধান খুঁজতে গিয়েই কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি নিয়ে গবেষণা আরও বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। জোয়ানের কথায়, “প্রথম কাজ শুরু হয় দু’টি শিশুর ফুসফুস নিয়ে। গাড়ি-দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ওরা। পরিবারের সম্মতিতে শরীর থেকে বার করে নেওয়া হয়েছিল এক জনের ফুসফুস। অন্য জনের ফুসফুস থেকে কিছু অবিকৃত কোষ-কলা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল বার করে নেওয়া ফুসফুসের কাঠামোতে। এ বার সেই কাঠামো-সহ ফুসফুস দু’টি বিশেষ রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে রাখা হয়, যাতে পুষ্টি মেলে কোষগুলির।”
জোয়ানের দাবি, সপ্তাহ চারেক পর থেকেই নতুন ফুসফুসের আকৃতি নিতে শুরু করে কোষগুলি। এই একই পদ্ধতিতে কিছু দিন পরে আরও একটি ফুসফুস তৈরি করেন তাঁরা। মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের আগে শুয়োরের দেহে পরীক্ষামূলক ভাবে এই কৃত্রিম ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হবে বলে জানালেন জোয়ান। |