দুর্গাপুরে দলীয় কর্মশালা থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন জেলায় দুর্ঘটনায় এক বিধায়ক-সহ তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী আহত হলেন। শনিবার বিকেলে চাকা ফেটে গাড়ি উল্টে পুরুলিয়ার হুড়ায় আহত হন মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু, তাঁর স্বামী গুরুপদ টুডু ও দেহরক্ষী লক্ষ্মীরাম টুডু। বিধায়কের কোমরে ও হাতে আঘাত লাগে। তাঁর স্বামীর মাথায় চোট লেগেছে। তিন জনকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে ছাড়া হয়। সন্ধ্যাদেবী বলেন, “হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ। রাস্তাটাও বৃষ্টিতে ভিজে ছিল। আচমকা গাড়িটা উল্টে গেল!” ওই কর্মশালা থেকেই ফেরার পথে বর্ধমানের গলসি, বুদবুদ ও কাঁকসায় আরও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। গলসির পুরষার কাছে গাড়ি উল্টে আহত হন মহিলা তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভানেত্রী পাপিয়া চট্টোপাধ্যায়-সহ ১০ জন তৃণমূল কর্মী। বাঁকুড়ার ইন্দাসে ফেরার পথে কাঁকসার রাজবাঁধে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। দোকানের দুই কর্মী-সহ ১০ জন আহত হন। বুদবুদের কাছেও তৃণমূল কর্মীদের বাস একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। আহত হন ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, তিনটি দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০-১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
|
মিশন হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী |
দুর্গাপুরে নিজের বাংলোয় শনিবার সকালে টেনিস খেলছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার বিনীতকুমার গোয়েল। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, মৃগিরোগে আক্রান্ত হয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু বলেন, “সকালে যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন খুব একটা ভাল অবস্থা ছিল না তাঁর। তবে চিকিৎসার পরে এখন অনেকটাই ভাল।” খবর পেয়েই পানাগড়ের মাটি উৎসব থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান। |