|
|
|
|
মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশন |
প্রাক্তন সম্পাদককে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ফেরানোর নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক তীর্থঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য বার কাউন্সিল। সেই সঙ্গে তাঁর লাইসেন্স পাঁচ বছরের জন্য খারিজ করা হয়েছে। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সম্পাদক অশোক পাল। তিনি বলেন, “আগেই ওঁকে বার থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। শো-কজ করা হয়েছিল। উনি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।” অশোকবাবুর কথায়, “সাধারণ মানুষ যাতে ওঁর কাছ থেকে আর প্রতারিত না হন, সেই জন্যই আমাদের এই সাংবাদিক বৈঠক। ওঁর বার লাইসেন্স খারিজ হয়েছে।”
মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশন শতাব্দী প্রাচীন। ১৯৭৮ সালে এই বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন তীর্থঙ্করবাবু। ১৯৯৬ সালে তিনি বারের সম্পাদক হন। এই পদে ছিলেন ২০০৯ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত। সম্পাদক থাকাকালীনই তীর্থঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। এই আইনজীবীর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের সুভাষনগরে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৯ জুলাই তাঁকে বার থেকে অপসারিত করা হয়। বারে মূলত দু’টি তহবিল থাকে। এর মধ্যে একটি তহবিল গড়া হয়েছে কোনও আইনজীবীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য। এক সময় ৪০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করা হত। এখন ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। মেদিনীপুর বারের অভিযোগ, এই তহবিলের টাকাও নয়ছয় করেন ওই আইনজীবী। অভিযোগ ওঠার পর তাঁর কাছে হিসেব চাওয়া হয়। তবে তিনি মনগড়া হিসেব দেন।
২০১০ সালের ৬ এপ্রিল মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ থেকেই ইস্তফা দেন তীর্থঙ্করবাবু। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য বার কাউন্সিলে অভিযোগ জানায় মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কাউন্সিলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি বারের প্রাক্তন সম্পাদককে দোষী সাব্যস্ত করে। পাঁচ বছরের জন্য তাঁর লাইসেন্স খারিজ করার পাশাপাশি ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৭৪ টাকা বারকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অশোকবাবু ছাড়াও এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দুভূষণ মিশ্র, সদস্য শান্তিকুমার দত্ত, দেবীদাস মহাপাত্র প্রমুখ।
তীর্থঙ্করবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মেদিনীপুরের ওই প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। কারও সঙ্গে কখনও প্রতারণা করিনি। বারের সম্পাদক পদে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছি। সব অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তীর্থঙ্করবাবুর অভিযোগ, “আমাকে যে ভাবে বার থেকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটাও অবৈধ। কোনও সদস্যকে অপসারণ করতে হলে সাধারণ সভা ডাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে অপসারণ করা হয়েছে।পরিস্থিতি দেখেই আমি সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিই।” তাঁর দাবি, “আমি সম্পাদক থাকাকালীন বারের ঘর সংস্কার হয়েছিল। তাতে ১২-১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছিল। ব্যয়ের সব হিসেব বারে রয়েছে।” |
|
|
|
|
|