|
|
|
|
বারবার গরম-ঠান্ডা, হচ্ছে জ্বর-কাশি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কেউ ভুগছেন ঘুসঘুসে জ্বরে, কেউ গলা ব্যথায় কাহিল। কারও গা-হাত-পায়ে ব্যথা, কেউ বুঝছেন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
নির্দিষ্ট কোনও অসুখ নয়, শীতের বিদায়বেলায় খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে ভুগতে হচ্ছে নানা জেলার মানুষকে। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকদের চেম্বারে ওই সব উপসর্গ নিয়ে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা পরিবর্তিত এই আবহাওয়ায় ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্য রোগজীবাণুর এখন পোয়া বারো। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাই বেশি কাহিল হচ্ছেন। বেশি ভোগান্তি হচ্ছে শিশুদের।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হানাদার জীবাণুরা নামগোত্রহীন। ফলে, তাঁদের মোকাবিলা সহজ হচ্ছে না চিকিৎসকদের পক্ষে। তাই সাধারণ মানুষকে তাঁরা বেশি মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছেন। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এই সময়ে গরম পোশাক পরাকে অনেক সময়েই সাধারণ মানুষ গুরুত্ব না দেওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। সন্ধ্যার পরে ও সকালের দিকে গরম পোশাক পরে বড়ির বাইরে বের হওয়া উচিত। তা ছাড়াও, সতর্কতা জরুরি। আর দরকার বিশ্রাম। জ্বর তিন চার দিনের বেশি থাকলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগের কারণ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে সর্দি-জ্বরের উপদ্রব। যদিও এখনও তা চরম আকার নেয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত বলেন, “শীতের সময় আমরা তো জ্বরের রোগীই পেতাম না, এখন অবশ্য ২-৪ জন করে আসতে শুরু করেছেন।” খড়্গপুর হাসপাতালে বহির্বিভাগে গড়ে ১০০-১২০ জন রোগী আসেন, এখন থেকেই তার মধ্যে ৩০-৪০ জন জ্বর-সর্দি নিয়ে আসছেন। হাসপাতালের সুপার দেবাশিস পালের কথায়, “কখনও শীত, কখনও গরম এই আবহাওয়ার কারণে জ্বর-সর্দির প্রকোপ একটু বেড়ে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসেও এটা ছিল না।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার কথায়, “এই সময়টা আবহাওয়ার মতিগতি বোঝা দায়, তাই জ্বর-সর্দি হয়ে থাকে।”
কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মাধব মণ্ডলের মতে, “এই সময়ে ভিটামিন-সি রয়েছে, এমন ফল বেশি খান। যাঁদের একটুতেই ঠান্ডা লাগে, তাঁরা প্রতি দিন গরম জলে স্নান করুন এবং গরম জল খান। ঘরের তাপমাত্রাও গরম রাখা উচিত।” ওই হাসপাতালে সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট-জ্বর নিয়ে শিশুরা চিকিৎসার জন্য আসছে। প্রতি দিন ৪০-৬০টি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অমিয় ঘটক জানান, সকাল-সন্ধ্যার ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুদের বাড়ির বাইরে বেশি বের করা উচিত নয়। ধোঁয়া-ধুলো থেকেও দূরে রাখতে হবে। |
|
|
|
|
|