তবে বাজেটের দু’দিন আগে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির এই হ্রাস কেন্দ্রের পক্ষে যথেষ্ট স্বস্তির। তার উপর শিল্পমহলও এতে খানিকটা হাঁফ ছেড়েছে। কারণ মূল্যবৃদ্ধি যত কমবে, তত জোরদার হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর পথ খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা। যা এই মুহূর্তে প্রতিটি শিল্পেরই বড় দাবি। বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিরেক্টর চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চড়া সুদ ও মন্থর বিনিয়োগের জেরে শিল্পের প্রাণান্তকর অবস্থা। এ বার যখন মূল্যবৃদ্ধি কমছে, তখন বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানো উচিত।”
চড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এত দিন সুদ কমানোর পথে হাঁটতে পারেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতির দীর্ঘ মেয়াদি মঙ্গলের জন্য মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যকেই আগে বাগে আনতে চেয়েছে তারা। এ অবস্থায় টানা দু’মাস মূল্যবৃদ্ধি কমা (ডিসেম্বরেও তা হয়েছিল ৬.১৬%) সুদ হ্রাসের পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষত যেখানে সম্প্রতি খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটাই কমেছে। |