কন্যাশ্রী প্রকল্পের সম্পর্কে প্রচারে নামল জেলা পুলিশ। তবে কোনও বক্তৃতা দিয়ে নয়। মঞ্চে নাটকের অভিনয় করে। নাটকের নাম ‘ফুলমণির স্বপ্ন’।
জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনব্যাপী নাট্য উৎসবের প্রথম দিনে এই নাটকটি অভিনীত হয়। নাট্য উৎসবের জন্য একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। |
‘ফুলমণির স্বপ্ন’ নাটকটিতে একটি মাত্র মহিলা চরিত্র বাদ দিয়ে বাকি সব চরিত্রেই পুলিশ কর্মীরা অভিনয় করেন। অভিনেতা পুলিশকর্মীদের বেশির ভাগই ছিলেন আদিবাসী। এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা নিজে রাত জেগে এই নাটকের রিহার্সালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর শাশুড়ি আরিয়া বেগম এই নাটকটি লিখেছেন। নাটকের গানে সুর দিয়েছেন এসপির স্ত্রী সাবা মির্জা। এসপি বলেন, “আদিবাসীদের জন্য রাজ্য সরকার নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যেই রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারছেন কই? তাঁদের ওই প্রকল্পের বিষয়ে সচেতন করতেই এই নাটক অভিনয় করে দেখানো হচ্ছে। আমরা নাটকটিকে জেলার নানা এলাকায় অভিনয় করিয়ে আদিবাসীদের সচেতন করতে চাই।”
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফুলমণি নামের এক আদিবাসী কন্যা লেখাপড়া করতে চাইলেও তার বাবা টাকার লোভে তাকে এক বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইছে। ফুলমনি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁকে ফিরিয়ে আনেন তার এক শিক্ষিকা। তার পরেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সে ৫০০ টাকা পেতে শুরু করে। শেষে একসঙ্গে ২৫০০০ টাকা পেয়ে সে এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে ভর্তি হয়। নাটকে শিক্ষিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শাশ্বতী মজুমদার। |