অতিবৃষ্টি বা বন্যা হলেই শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আটটি গ্রামের। কার্যত চার মাস জলবন্দি হয়ে থাকতে হয় ওই সব গ্রামের বাসিন্দাদের। মাড়গ্রাম থানার গোপালপুর, বাবলাডাঙা, জয়চন্দ্রপুর, টিঠিডাঙা, উলাহাপাড়া, মোতাইন, কবিরাজপুর, দুনিগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি মেনে ভাঙলা সেতু নির্মাণের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে ইলামবাজার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। ওই প্রকল্প শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে বলে আশ্বাস দেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিকেলে সুব্রতবাবু রামপুরহাট ১ ব্লকের মাঝখণ্ড মৌজায় জলের নমুনা সংগ্রহশালা তথা সচেতনতা বৃদ্ধি শিক্ষাকেন্দ্র এবং পান্থশ্রী পরিদর্শন কুঠীরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে আসেন। |
পানাগড়ে মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি পরিদর্শনকুঠির। ঠিক তখনই মাঝখণ্ড
থেকেও
প্রতীকী উদ্বোধন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও। —নিজস্ব চিত্র। |
পানীয় জলের গুণমান পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট মহকুমা ও সংলগ্ন এলাকায় জলের নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে এই পরিদর্শনকুঠী তৈরি করা হয়েছে। পানাগড়ে মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বোতাম টিপে ওই পরিদর্শন কুঠীরের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরে সুব্রতবাবু দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙলা নদীর পাড়ে যান। মন্ত্রী আসার আগাম খবর পেয়ে এলাকাবাসী একটি মঞ্চ গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে সুব্রতবাবু বলেন, “আপনারা এতদিন ধৈর্য ধরেছেন। আমরা যখন কথা দিয়েছি, তখন আপনাদের দাবি পূরণ হবেই।”
তিনি আরও বলেন, “ভাঙলা সেতুর জন্য পঞ্চায়েত দফতর থেকে ১২ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানে সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা খুব শীঘ্রই দ্বিতীয়বার দরপত্র ডাকব। কিন্তু সেই দরপত্রে যদি সাড়া না পাওয়া যায়, তা হলে নিয়ম মতো সরকার অনুমোদিত পাবলিক সেক্টর কোম্পানিকে দিয়ে আমরা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করব এবং সেক্ষেত্রে দরপত্র আহ্বান না করলেও চলবে।” এ দিকে ভাঙলাপাড়ের বসিন্দা গোপালপুরের হলধর মণ্ডল, বাবলাডাঙার বিনোদ মণ্ডল বলেন, “এর আগেও সেতু নির্মাণের জন্য টাকা অনুমোদন হলেও নানা টাল বাহানায় সেতু নির্মাণ হয়নি। তাই যতদিন না কাজ শুরু হচ্ছে ততদিন আমরা ভরসা পাচ্ছি না।” |