একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা গুরুঙ্গের
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
স্বাস্থ্য থেকে সৌন্দর্যায়ন, কফি চাষ থেকে পর্যটন। বৃহস্পতিবারও পরিকাঠামো এবং পরিষেবা উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করলেন জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ। চলতি মাস থেকেই একাধিক শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প গুরুঙ্গ ঘোষণা করেছেন। এ দিন দার্জিলিঙের টকভরে রোপওয়ে পরিষেবার শিলান্যাস করেছেন গুরুঙ্গ। টকভর থেকে জামুনি পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবার শিলান্যাস করা হয়েছে এ দিন। দার্জিলিঙে চারটি এলাকায় রোপওয়ে যোগাযোগ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। এতে খরচ হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে দু’টি প্রকল্পের শিলান্যাস আগেই হয়েছে। এ দিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বিমল গুরুঙ্গ, দার্জিলিঙের গোকেতে কফি বাগিচা তৈরি, জামুনিতে পর্যটন কেন্দ্র, টকভোরে ৩০ শয্যার হাসপাতাল, পাতলেবঙে অতিথিনিবাস, টকভোরে আধুনিক বাজারভবন তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করেন।
গুরুঙ্গের কথায়, “পাহাড়ের বাসিন্দারা উন্নয়ন করার জন্যই আমাদের ভোট দিয়ে জিটিএতে পাঠিয়েছে। তাই উন্নয়নের কাজ করলেই বাসিন্দারা আমাদের পাশে থাকবেন, উন্নয়ন না হলে সেই সমর্থনও থাকবে না। সে কারণেই উন্নয়নের সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।” জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, আধুনিক শিশু উদ্যান, ‘ওয়াটার কিংডম’, দু’টি সুইমিং পুল, পর্যটকদের থাকার বাঁশের রিসর্ট তৈরির প্রকল্পও জিটিএ চূড়ান্ত করেছে। রিসর্ট তৈরির জন্য ইতিমধ্যে অসম থেকে বাঁশ আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন।
হাসপাতাল, বাজারভবন তৈরি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে, কফি বাগিচা, নতুন রিসর্ট, আধুনিক উদ্যান তৈরি করে আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটক টানা সম্ভব হবে বলে জিটিএ-এর প্রতিনিধিরা মনে করছেন। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে বলে এ দিন গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। উন্নয়ন নিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে এ দিন কটাক্ষও করেছেন জিটিএ-চিফ। তাঁর কথায়, “এর আগে পাহাড়ে যারা উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন, তারাও এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ করতে পারতেন। তাদের সদিচ্ছা ছিল না, কিন্তু আমরা পাহাড়বাসীর কাছে দায়বদ্ধ।” |