টুকরো খবর
রেশন কার্ড বিলি নিয়ে গণ্ডগোল
সিপিএম পরিচালিত চাপড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাঙচুর ও সমিতির সিপিএম সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে রেশন কার্ড বিলি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে একদল তৃণমূল নেতা-কর্মী পঞ্চায়েত সমিতি তছনছের পাশাপাশি এক কর্মাধ্যক্ষ-সহ দুই সিপিএম সদস্যকেও মারধর করে। আতঙ্কিত রেশন কার্ড সংগ্রহকারীরা ছুটে পালান। বন্ধ হয়ে যায় রেশন কার্ড বিলি। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রেশন কার্ড বিলি নিয়ে চাপড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।”
পুলিশ ও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, এ দিন মহত্‌পুর পঞ্চায়েত এলাকার রেশন কার্ড বিলি চলছিল। দুপুর একটা নাগাদ উত্তেজনা তৈরি হয়। তখন সিপিএম-এর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা মহত্‌পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাদের এক সদস্যকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। খানিক পরে তৃণমূলের লোকজন এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অভিযোগ, তারা সভাপতির ঘরে গিয়ে উল্টে দেয় চেয়ার। টেলিফোন ছুড়ে ফেলে। কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ারও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, “মানুষের রায়ে পরাজিত তৃণমূল গায়ের জোরে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চাইছে। তাই এ দিন বিনা কারণে ওরা ভাঙচুর চালাল। পুলিশ আসার পরও ওরা তাণ্ডব চালিয়েছে।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে সিপিএম মারধর করে। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করেছে মাত্র।” জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”

ছেলের স্মৃতিতে সাংস্কৃতিক মঞ্চ
একমাত্র ছেলের স্মৃতিতে প্রধান শিক্ষিকা মা নিজের বিদ্যালয়ে পনেরো লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি করলেন। বৃহস্পতিবার নদিয়ার হরিণঘাটার বড়জাগুলিয়ায় রাজলক্ষী কন্যা বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা কৃষ্ণা ভৌমিকের ছেলের স্মৃতিতে গড়া ওই মঞ্চের উদ্বোধন করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক তপনকুমার চক্রবর্তী। কৃষ্ণাদেবীর বক্তব্য, “পড়ুয়াদের মধ্যেই আমি হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পাই। তাই মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” স্কুল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কৃষ্ণাদেবীর বাড়ি। তাঁর ছেলে কৌশিক ভৌমিক কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা করছিলেন। ২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই কৌশিকবাবু মারা যান। তারপরই কৃষ্ণাদেবী পণ করেন ছেলের স্মৃতিতে স্কুলে সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়বেন।

বিদ্যুৎ চুরি রুখতে স্মারকলিপি কংগ্রেসের
গ্রামে গ্রামে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। তাদের দাবি, গোটা ব্লক জুড়ে বিদ্যুৎ চুরির ফলে লো ভোল্টেজ থাকায় সেচের জন্য স্যালো পাম্পগুলি ঠিকমত চালানো যাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রেজা বলেন, “বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যুৎ চুরি ধরতে গিয়ে রাজনৈতিক রঙ দেখে অনেককেই ছেড়ে দিচ্ছেন। সবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর না করে বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থকদের হয়রান করা হচ্ছে।” বিদ্যুৎ দফতরের সহকারি বাস্তুকার প্রদীপ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “চুরি বন্ধে অভিযান চলবে। চোর ধরতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভ্রান্ত।’’

অনিয়মের অভিযোগ, স্কুলে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা
অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সুতির আমুহা কদমতলা হাই স্কুলের ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে এ দিন স্কুলের সামনে ঘণ্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ফলে পড়ুয়ারা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকাইপুর, বসন্তপুর, নিজামপুর, ভোলানাথপুর, সুন্দরপুর, সুজাপুর, কদমতলা প্রভৃতি দশটি গ্রামের মধ্যে একমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির এই স্কুলে প্রায় তিন হাজার পড়ুয়া রয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ একাধিক। শিক্ষকরা ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না, আগাম না জানিয়ে অনেক সময়ই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়-এমনই নানা কিছু। নিজামপুরের বাসিন্দা তৃণমুল নেতা কালাম শেখ বলেন, “আমার দুই মেয়ে এই স্কুলে পড়ে। তাদের মুখেই শুনেছি দু’একজন শিক্ষক ছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষকই সময়ে স্কুলে আসেন না। গত সোমবার থেকে স্কুল বন্ধ। কিন্তু কেন তা জানা নেই।” তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকি বলেন, “শিক্ষকদের অনিয়মিত স্কুলে আসা নিয়ে যেসব বিষয়ে অভিযোগ ছিল তা নিয়ে কথা হয়েছে। আর ছুটির কথা যারা জানত না তারাই ফিরে গিয়েছে। জঙ্গিপুরের সহকারি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পঙ্কজ পাল বলেন, “গ্রামবাসীর এই বিক্ষোভের কথা আমাকে জানানো হয়নি। তবেশিক্ষকরা অনিয়মিত স্কুলে যাওয়ার অভিযোগ গুরুতর। আমি শীঘ্রই ওই স্কুলে গিয়ে কথা বলব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে।”

রান্নাঘরে আগুন, আতঙ্ক স্কুলে
মিড-ডে মিল রান্নার সময় গ্যাসের পাইপ ‘লিক’ করে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়াল স্কুলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রানিনগরের শেখপাড়ার বাবুলতলি খলিলুর রহমান বিদ্যানিকেতনের ঘটনা। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কের জেরে এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ স্কুল ছুটি হয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১২ টা নাগাদ রান্না ঘরে সিলিণ্ডারের পাইপ ‘লিক’ হয়ে আগুন ছড়ায়। ঘটনার পর রাঁধুনীরা চিত্‌কার জুড়ে দেন। আতঙ্কে পড়ুয়ারা এ দিক সে দিক ছুটে পালাতে থাকে। অবশ্য আগুন তেমন জোরালো না থাকায় বহরমপুর থেকে দমকলের গাড়ি আসার আগেই ছাত্র-শিক্ষকরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় অভিভাবকরা গ্যাসের ব্যবহারবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের দাবি, চোরাই রেগুলেটর ও কম দামী পাইপ ব্যবহারের ফলেই এ দিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। এ ছাড়াও গ্যাসের ব্যবহার নিয়ে রাঁধুনীদের কেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না সে প্রশ্নই তুলছেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘‘রাঁধুনীদের বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ওঁরা কেন নিম্ন মানের সরঞ্জাম ব্যবহার করছিলেন তা বুঝতে পারছি না।’’ অন্যদিকে রাঁধুনীদের বক্তব্য, “গ্যাসের ওই পাইপ বারবার নষ্ট হয়ে যায়। তাই কমদামের পাইপ কেনা হয়েছিল।” জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক বিমল পাণ্ডা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়লে পদক্ষেপ করা হবে।”

বিদ্যুত্‌ চুরি রুখতে স্মারকলিপি
গ্রামে গ্রামে হুকিং করে বিদ্যুত্‌ চুরি রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি বিদ্যুত্‌ সরবরাহ দফতরে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। তাদের দাবি, গোটা ব্লক জুড়ে বিদ্যুত্‌ চুরির ফলে লো ভোল্টেজ থাকায় সেচের জন্য স্যালো পাম্পগুলি ঠিকমত চালানো যাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রেজা বলেন, “বিদ্যুত্‌ দফতর বিদ্যুত্‌ চুরি ধরতে গিয়ে রাজনৈতিক রঙ দেখে অনেককেই ছেড়ে দিচ্ছেন। সবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর না করে বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থকদের হয়রান করা হচ্ছে।” বিদ্যুত্‌ দফতরের সহকারি বাস্তুকার প্রদীপ মুখোপাধ্যায় অবশ্য এ অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর কথা, “চুরি বন্ধে অভিযান চলবে। চোর ধরতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভ্রান্ত।’’

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
সাইকেলে করে জমি দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক কৃষকের। বৃহস্পতিবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের মথুরাপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম মহম্মদ রফিকুল ইসলাম (৪১)। তিনি ওই থানা এলাকারই রায়চকের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ অন্যান্য দিনের মত জমি দেখতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। পিছন থেকে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.