আইআইটি থেকে অশ্লীল ছবি নেটে, অভিযুক্ত ছাত্র
ন্টারনেটে এক তরুণী শিক্ষিকার অশালীন ছবি ‘আপলোড’ করার ঘটনায় এ বার নাম জড়াল আইআইটি খড়্গপুরের এক ছাত্রের। ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের ওই শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে বুধবার রাতে খড়্গপুর আইআইটি-তে তদন্তে এসেছিল সে রাজ্যের পুলিশ। তারা জানায়, অভিযুক্ত সুরজিৎকুমার জৈন আইআইটি-র এম টেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পুলিশের দাবি, আইআইটি খড়্গপুরের ‘ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস’ (আইপি-অ্যাড্রেস) ব্যবহার করে ওই ছবি ইন্টারনেটে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
তবে সুরজিতের হদিস পায়নি ছত্তীসগঢ় পুলিশের ওই দল। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানান, দু’মাস ক্লাসে আসছেন না ‘ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্র। হস্টেলেও তিনি নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে ওই স্কুলশিক্ষিকা ইন্টারনেটে তাঁর অশ্লীল ছবি দেওয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ছত্তীসগঢ়ের সারকণ্ড থানার পুলিশ জানতে পারে, খড়্গপুর আইআইটি-র ‘আইপি-অ্যাড্রেস’ থেকে ওই ছবি ‘আপলোড’ হয়েছে। এর পরেই ওই ঘটনায় নাম জড়ায় সুরজিতের। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী তরুণী সম্পর্কে সুরজিতের জামাইবাবুর দিদি। বেশ কিছু দিন ধরে সুরজিতের দিদি-জামাইবাবুর দাম্পত্য সমস্যা চলছে। ঘটনার সঙ্গে সে বিষয়টির যোগ থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
সুরজিতের খোঁজে বুধবার আইআইটি-র লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলে (হস্টেলে) আসে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ইনস্পেক্টর এইচ পি সিংহের নেতৃত্বাধীন তিন জনের একটি দল। আইআইটি সূত্রের খবর, দীর্ঘ দু’মাস ক্লাস করছিলেন না সুরজিৎ। সম্প্রতি তাঁর গাইড অধ্যাপক অমিতাভ ভট্টাচার্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। সুরজিতের হস্টেলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক ডি কে মাইতি বলেন, “ওই ছাত্র আমাদের না জানিয়েই চলে গিয়েছেন। সপ্তাহ দেড়েক আগে আমরা ওর খোঁজ নিতে বাড়িতে যোগাযোগ করি। পরিবারের লোকেরা জানায়, সুরজিৎ বাড়িতে ফিরছেন।”
এ দিকে, আইআইটি-র নিজস্ব ‘আইপি-অ্যাড্রেস’ থেকে অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ‘আপলোড’ হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে। প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম প্রতিষ্ঠান আইআইটি চত্বরে ইন্টারনেট ব্যবহারে কয়েক বছর হল ‘ওয়াই-ফাই’ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে, ক্যাম্পাসের যে কোনও জায়গা থেকে মোবাইল বা ল্যাপটপে নেট পরিষেবা পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে ছাত্রদের থেকে পাসওয়ার্ড জেনে ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কেউ নেট ব্যবহার করতে পারে।
খড়্গপুর আইআইটি-র রেজিস্ট্রার তপনকুমার ঘোষাল বলেন, “কে, কী ভাবে আইপি-অ্যাড্রেস ব্যবহার করে কী ছবি আপলোড করছে, তা দেখা কঠিন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ‘ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ বিভাগের প্রধান স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওয়াই-ফাই সিস্টেম পড়াশোনার স্বার্থে গড়া হয়েছে। যদি কেউ তার উপযুক্ত ব্যবহার না করে, কী বলার আছে!”

কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি প্রহৃত সবংয়ে
কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সবংয়ের ভেমুয়া মোড়ে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ পাড়ি বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে টেনে নিয়ে গিয় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এলাকায় কংগ্রেস-তৃণমূল অশান্তি চলছে। সেই সংক্রান্ত মামলাও চলছে। এ দিন জলচক থেকে ভেমুয়ার আমদায় বাড়িতে ফিরছিলেন নারায়ণবাবু। তখন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। নারায়ণবাবু বলেন, “আমাকে ওদের দলীয় কার্যালয়ে টেনে নিয়ে যায়। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমাকে বেধড়ক মারধর করে।” কংগ্রেস ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডার দাবি, “তৃণমূল আগে ওই অঞ্চল সভাপতির পা ভেঙে দিয়েছিল। আবার হামলা করেছে।” তৃণমূলের জেলা নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.