গাছ কাটার তদন্তে রেঞ্জ অফিসার
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ডেবরা-সবং রাস্তার দু’-ধারে অতিরিক্ত গাছ কাটার ঘটনায় বৃহস্পতিবার তদন্ত গেলেন ডেবরার রেঞ্জ অফিসার মাণিক মাণ্ডি। সঙ্গে ছিলেন কলাইকুণ্ডার রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো, পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অম্বিকা পাত্র। এ দিন তাঁরা ডেবরা-সবং রাস্তার ডেবরা থেকে দু’কিলোমিটার অংশে গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন। বন দফতর সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই ডেবরা থেকে সবং ২৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য পূর্ত দফতরকে ২৯৫টি গাছ কাটার অনুমতি দেয় বন দফতর। বিধি মেনে বন দফতর টেন্ডারও দেয়। ২০১৩ সালে গাছ কাটার ওই অনুমতি দেওয়ার সময় ডেবরার রেঞ্জ অফিসার ছিলেন চন্দ্রশেখর মাহাতো। এখন তিনি কলাইকুণ্ডায় বদলি হয়ে গিয়েছেন। এ দিন তদন্তের জন্য তাঁকেও ডাকা হয়েছিল। তাঁরা ডেবরা-সবং রাস্তার প্রায় ২ কিলোমিটার অংশে তদন্ত চালান। মাণিক মাণ্ডি বলেন, “ডেবরা-সবং রাস্তার ২ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৩৬টি গাছ অতিরিক্ত কাটা হয়েছে বলে তদন্তে ধরা পড়েছে। গাছগুলি কাটার পর বেশিরভাগটাই অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা পূর্ত দফতরকে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছি।” অম্বিকা পাত্র বলেন, “বন দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে ওই ঘটনার তদন্ত করেছি। তদন্তের রিপোর্ট তৈরি হলে পদক্ষেপ করা হবে।” উল্লেখ্য, অনুমতির চেয়ে বেশি সংখ্যক গাছ কাটার অভিযোগে বুধবার ডেবরায় রেঞ্চ অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয় জেলা কাষ্ঠ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির লোকজনও। গ্রামবাসীরা অভিযোগ তোলেন, ওই রাস্তার দু’ধার থেকে প্রায় হাজার খানেক গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে।
|
হাতির হামলায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
জঙ্গলে কাঠপাতা কুড়োতে গিয়ে হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণের কলাইকুণ্ডার জাঠিয়া জঙ্গলে। মৃত অদিতিরানি মাহাতো (৫৫)-র বাড়ি পাশের গ্রাম খেমাশুলিতে। এ দিন দল বেঁধে পাঁচ জন খেমাশুলি থেকে জাঠিয়া জঙ্গলে কাঠপাতা কুড়োতে যান। তখনই মাঝবয়সী হাতিটি আক্রমণ করে। পালানোর সময় পিছনে পড়ে যান অদিতিদেবী। হাতিটি অদিতিদেবীকে পিষে দেয়। বিকেলে এলাকায় যায় পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। তবে হাতিটি কোত্থেকে এসেছিল, কোন দিকেই বা গিয়েছে তা বন দফতরের কাছে পরিষ্কার নয়। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “শুনেছি হাতির হানায় মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় বনকর্মীরা রয়েছেন। হাতিটির খোঁজ মেলেনি। |