ডানকুনির মানসিক ভারসাম্যহীন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা তথা ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী’ সাধারণ সম্পাদক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি এলাকারই একটি ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বছর চব্বিশের ওই তরুণীকে পরিচিত এক জন ধর্ষণ করে এবং তিন জন পাহারায় থাকে বলে অভিযোগ। অত্যাচারের পরে তরুণীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় জানিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর মা লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে। ওই দিনই অভিযুক্ত চার জন গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংগঠনের কয়েক জন সদস্যকে নিয়ে ডানকুনি পুর-এলাকায় ওই তরুণীর বাড়িতে এসে কান্তিবাবু নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। মাথায় বুলিয়ে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
|
নির্যাতিতার বাড়ির পথে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ডানকুনিতে। ছবি: দীপঙ্কর দে। |
আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্যাতিতার মাকে কান্তিবাবু বলেন, “মেয়েকে ভাল ডাক্তার দেখানো দরকার। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, সব ব্যবস্থা করে দেব। মেয়ে যদি পড়াশোনা করতে চায়, তা হলেও সব সাহায্য করব।” মেয়ের উপরে কী ভাবে অত্যাচার হয়েছিল, সে কথা কান্তিবাবুকে জানান নির্যাতিতার মা। কান্তিবাবু তাঁদের ফোন নম্বর নিয়ে কিছুদিন পরে দেখা করতে বলেন। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডানকুনি থানায় গিয়ে ঘটনার তদন্ত যাতে ঠিকঠাক হয়, পুলিশের কাছে সেই দাবিও জানান কান্তিবাবু।
কান্তিবাবুর দাবি, “এই মেয়েটির বাবা তৃণমূল করেন। এলাকাটিও তৃণমূল প্রভাবিত। তার পরেও ওই পরিবারের লোকজন আমাকে সাদরে বাড়িতে নিয়ে যান। এলাকাতেও আমি ভাল সাড়া পেয়েছি।” বুধবারই ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার, ডানকুনির পুরপ্রধান হাসিনা শবনম, জেলা তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়। এ দিন স্বাতীদেবীর কটাক্ষ, “অভিযুক্তদের সবাই ধরা পড়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই অবস্থাতেও স্রেফ রাজনীতি করতে ওই সিপিএম নেতা এখানে এলেন।” আর সুবীরবাবুর মন্তব্য, “আমাদের দল ওই পরিবারের পাশে রয়েছে। বাইরে থেকে উজিয়ে এসে কেউ এলাকাকে অশান্ত করার রাজনীতি করছেন, এটা দুর্ভাগ্যের।”
|