পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখে কলকাতাকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার সুযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক আলোচনায় এমনই মন্তব্য করেন দেশবিদেশের নগরায়ণ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, এই শহরও বিশ্বের অন্য বড় শহরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার জন্য কী করা দরকার তা নিয়ে এ দিন শুরু হল আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র। আয়োজন করেন কলকাতা মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট (কেমোমা ) , ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং ক্রেডাই বেঙ্গল। দু’দিন ব্যাপী আলোচনার সূচনা করেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীর কথায়, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শহরের উন্নয়ন জরুরি। আকর্ষণীয় করতে হবে শহরের পর্যটন কেন্দ্রগুলিও।” তিনি জানান, কারুকলা এ শহরের ঐতিহ্য। কুমোরটুলির শিল্পীরা শহরের সম্পদ। কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া, গড়িয়াহাট বাজার শহরের অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে সে সবের কতটা উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তাঁর বক্তব্য, “এ সবই বাণিজ্যিক ও আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির নিরিখে ভাবা দরকার। তবেই কারুকলার যথাযোগ্য মূল্য পাবেন শিল্পীরা। ইন্টারনেটের যুগেও বাড়বে বইপাড়া ও গড়িয়াহাটের গৌরব।”
গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন, ত্রিফলার পাশাপাশি সবুজায়নেও নজর বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়। আইসিসি -র কলকাতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তথ্য কেমোমা -র ম্যানেজিং ট্রাস্টি রাখী সরকার বলেন, “শহরের ঐতিহ্য বজায় রেখে পুরনোকে ফের নতুন করে বানাতে এমন ভাবে কাজ করতে হবে, যাতে আগামী ২০০ বছর তা থাকে।” কেমোমা সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতার উন্নয়নে কাজ করে যাবে বলে জানান তিনি।
ফিরহাদ বলেন, “পূর্ব ভারতের স্নায়ু কেন্দ্র কলকাতা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই শহরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে জোর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সে ভাবেই শহরকে আন্তর্জাতিক মান দিতে চায় সরকার।”
মন্ত্রী জানান, শহরের সৌন্দর্যায়ন ও সবুজায়নে ইতিমধ্যেই সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। কল্যাণী ও নিউ টাউনের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করবে সরকার। পুরনো ঐতিহ্য বজায় রাখতেই মহাকরণ থেকে অফিস সরিয়ে নিয়ে তা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |