অনুষ্ঠান শেষে কোল ইন্ডিয়াকে ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সংস্থাটি এই অর্থবর্ষে ডিভিডেন্ড ও কর বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের ঘরে জমা দিয়েছে। এ রকম সংস্থাকে আদৌ ঢেলে সাজার প্রয়োজন আছে কি?” অবশ্য তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, তাঁদের হাতে আসা ডেলয়েটের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে কয়লা উৎপাদনে একাধিক সংস্থাকে প্রতিযোগিতার দৌড়ে সামিল করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। সে জন্যই কোল ইন্ডিয়া ঢেলে সাজার কথা ভাবা হয়। পরিকল্পনাটি হল কোল ইন্ডিয়ার শাখা সংস্থগুলিকে পৃথক স্বাধীন সংস্থায় পরিণত করে প্রতিযোগিতার আঙিনায় টেনে আনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিয়োগ করা হয় পরামশর্দাতা সংস্থাকে।
এ দিন জয়সোয়াল নতুন কয়েকটি কয়লা ক্ষেত্র নিলাম করার কথাও জানান। নিলামে অংশ নিতে পারবে লোহা, ইস্পাত, সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
কয়লা উৎপাদনে সামাজিক এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাই প্রধান বাধা বলে এ দিন মন্তব্য করেন কোল ইন্ডিয়ার সিএমডি এস নরসিংহ রাও। তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত আইন পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।” সম্মেলনে ভারতীয় সংস্থা ছাড়াও অংশ নিয়েছে ৩০টি দেশ। এম জি এম আইয়ের সভাপতি ও ভারত কোকিং কোলের সিএমডি টি কে লাহিড়ি জানান, খনিজ উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে ভারত। |