প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভ ইউক্রেনে
সংবাদ সংস্থা • কিয়েভ
১৩ ফেব্রুয়ারি |
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভে উত্তাল ইউক্রেন। অন্তত ৭০ হাজার প্রতিবাদী রবিবার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে গদিচ্যুত করতে কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হন। নীল আর হলুদ রিবন পরেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। যা ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতীক। রাশিয়ার সঙ্গে ইয়ানুকোভিচের জোট তাঁরা কোনও অবস্থাতেই মানবেন না। ২০১৩-এর নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করার আগে হঠাৎই পিছু হটেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। প্রতিবাদীদের অভিযোগ ছিল, দেশবাসীকে ঠকিয়ে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছেন ইয়ানুকোভিচ। নভেম্বরের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই তখন প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন লাখ খানেক মানুষ। এ দিনও কিয়েভের সেই ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে তাঁদের জমায়েত হয়েছিল। সরকারকে বরখাস্ত করে বিরোধীদের কিছু দাবি এত দিনে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন কোণঠাসা প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ইয়ানুকোভিচ জানেন, রাশিয়াকে চটালেও তাঁর চলবে না। কারণ, রুশ প্রশাসন তাঁদের ১৫০০ কোটি ডলার সাহায্য করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু দেশে শান্তি না ফিরলে রাশিয়া সেই অর্থ দেবে না। সোচি অলিম্পিকের ফাঁকে রাশিয়ার সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে ইয়ানুকোভিচের।
|
কায়রোয় মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মীকে আটক করল সে দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। ধৃতের নাম আহমেদ আলাইবা। দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোনও কারণ ছাড়াই ২৫ জানুয়ারি থেকে আহমেদ আলাইবাকে আটক করে রেখেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে মিশরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আহমেদ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসিদের অনুগত মুসলিম ব্রাদারহুডের হয়ে কাজ করেছেন। আরব বসন্তের গণ অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী-সংঘর্ষেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে।
|
ভেনেজুয়েলায় সরকার বিরোধী আন্দোলন দিন দিন তীব্র হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিন জন। আহত অন্তত ২৪। ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অবশ্য বলেছেন, “গোটা বিশ্বকে জানাতে চাই যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের চক্রান্ত হচ্ছে।”
|
আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও ৬৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিল আফগানিস্তান। সে দেশে মজুত মার্কিন সেনার দাবি, এই ৬৫ জন বন্দির মধ্যে কিছু বন্দি আছে, যারা সরাসরি বিভিন্ন হামলার সঙ্গে জড়িত। কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, আফগান সরকারের এই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব কাবুলকেই নিতে হবে।
|
পাকিস্তানে পৃথক দু’টি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হলেন ২০ জন। একটি ঘটনা করাচির। সেখানে পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান এগারো জন পুলিশ। অন্য দিকে, পেশোয়ারে এক পুলিশকর্মীর বাড়ি নিশানা করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে নিহত হয়েছেন ৯ জন। এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী বিস্ফোরণ দু’টির দায় স্বীকার করেনি। |