টাটকা খবর
মরিচগুঁড়ো, হাতাহাতি, ভাঙচুরের মধ্যেই সংসদে পেশ তেলঙ্গানা বিল
হাতাহাতি, ভাঙচুর, এমনকী, চোখে-মুখে গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে কয়েক জন সাংসদকে হাসপাতালে পাঠানো ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে যাবতীয় অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার। তেলঙ্গানা বিল পেশ নিয়ে দু’দল সাংসদ জড়িয়ে পড়লেন হাতাহাতিতে, লোকসভার ওয়েলে নেমে কম্পিউটারের স্ক্রিন ভাঙা হল, ভেঙে দেওয়া হল মাইক। এই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১৮ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনই সীমান্ধ্র অঞ্চলের। লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার এই ঘটনাকে ‘দেশ ও সংসদের লজ্জা’ বলে বর্ণনা করেছেন। সামগ্রিক ঘটনাবলি সম্পর্কে একটি শব্দে ক্ষুব্ধ স্পিকারের মন্তব্য: ‘কলঙ্ক’। লোকসভা ও রাজ্যসভা সংসদের এই দুই কক্ষই আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন সকালে লোকসভায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিভাজন নিয়ে বিল পেশের সময়েই গন্ডগোল শুরু হয়। পৃথক তেলঙ্গানার সমর্থক ও বিরোধী সাংসদদের মধ্যে বিবাদ-বিতর্ক চলতে থাকে। প্রবল বিতণ্ডার মধ্যেই কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ এল রাজাগোপাল একটি পাত্র থেকে সাসংসদদের উদ্দেশে গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়াতে থাকেন। অনেকেরই চোখে-মুখ থেকে জল পড়তে শুরু করে। বহু সাংসদ কাশতে থাকেন। অনেকের শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। প্রবল শ্বাসকষ্টের জন্য তিন সাংসদ বিনয় কুমার পাণ্ডে, পোন্নম প্রভাকর ও বলরাম নাই-কে সংসদের পার্শ্ববর্তী রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বহু সাংসদ চোখ রগড়াতে রগড়াতে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন।
সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি টিডিপি সাংসদ বেণুগোপাল রেড্ডি। ছবি: এ এফ পি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে অন্ধ্র পুনর্গঠন বিলটি পেশ করার জন্য উঠে দাঁড়ালে তীব্র গন্ডগোল শুরু হয়। তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) তেলঙ্গানা-বিরোধী সাংসদ বেনুগোপাল রেড্ডি লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের টেবিলের মাইক ভেঙে দেন। ভেঙে দেওয়া হয় টেবিলের কাচ। বিবদমান দু’পক্ষকে থামাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও।
রাজ্যসভাতেও এই বিল নিয়ে প্রবল হট্টগোল হয়। সাংসদেরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান সাংসদেরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের মাইক কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা হয়। টিডিপি সাংসদ সি এম রমেশ পোডিয়াম থেকে মাইক উপড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরেই রাজ্যসভার অধিবেশন প্রথমে দুপুর, পরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কমল নাথ গোটা ঘটনার নিন্দা করে বলেন, স্পিকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। গোটা ঘটনায় দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালাও শুরু হয়েছে। কমলনাথ অভিযোগ করেন, প্রথমে এই বিলটি সমর্থন করলেও পরে বিজেপি এর বিরোধিতা করছে। তাঁর মন্তব্য: “বিজেপি-র স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়েছে।” কিন্তু লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা যথাক্রমে বিজেপি-র সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি অভিযোগ করেছেন, বিলটি পেশের আগে সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নেয়নি এবং এই ‘নাটক’-এ উৎসাহ দিয়েছে।
ওয়াই এস আর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি এই বিলটির প্রসঙ্গে প্রথম আপত্তি জানান। যে ভাবে বিলটি পেশ হয়েছে তাকে তিনি ‘প্রহসন’ বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এই বিলের সমর্থনকারী তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কে চন্দ্রশেখর রেড্ডি পাল্টা দাবি করেন, নিয়ম মেনেই বিলটি সংসদে পেশ হয়েছে।

দিনভর উথালপাথাল
বিকেল ৫টা এল রাজাগোপাল গোলমরিচ ছড়ানোর কথা স্বীকার করলেন। তবে তিনি সংসদে ছুরি আনেননি বলে দাবি করলেন।
দুপুর ৩.৫০ বিল পেশের বিরোধিতা করায় বিজেপি-র সমালোচনা করলেন কমল নাথ।
দুপুর ৩.৩০ বিজেপি, এসপি, বিজেডি, সিপিআই এবং তৃণমূল সাংসদেরা লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের সঙ্গে দেখা করে এ ভাবে তেলঙ্গনা বিল পেশের বিরোধিতা করলেন।
দুপুর ৩.০১ আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভাও।
দুপুর ২.৪৫ জানা গেল, কে নারায়ণ রাও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানালেন, তিনি বিপন্মুক্ত। তবে চিকিত্‌সা চলছে।
দুপুর ২.১৫ তেলুগু দেশমের সাংসদ কে নারায়ণ রাওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।
দুপুর ২.০৫ সাংসদ এল রাজাগোপাল-সহ সীমান্ধ্র অঞ্চলের ১৭ জন সাংসদকে লোকসভার এই অধিবেশন থেকে বহিষ্কার করা হল।
দুপুর ২টো সংসদের দু’কক্ষে ফের শুরু অধিবেশন। আবার গন্ডগোল শুরু হলে লোকসভা ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি। রাজ্যসভা মুলতুবি সোমবার পর্যন্ত।
দুপুর ১.৫৫ লোকসভায় তেলঙ্গনা বিল পেশের বিরোধিতায় আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা ওয়াইআরএস-এর প্রধান জগন রেড্ডির।
দুপুর ১.৪৫ চোখ-মুখে জ্বালা নিয়ে বেরিয়ে এলেন তিন সাংসদ। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।
দুপুর ১২.০২ বিজয়ওয়াড়ার বহিষ্কৃত কংগ্রেস সাংসদ এল রাজাগোপাল গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে বিল পেশ আটকাতে গেলেন। প্রবল হইহট্টগোলের মধ্যে বিল পেশ করলেন শিন্ডে।
দুপুর ১২টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ড লোকসভায় তেলঙ্গনা বিল পেশ করতে উঠলেন।
সকাল ১১.৫০ সংসদের বাইরে বিজয় চকে তেলঙ্গনার সমথর্ক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ।
সকাল ১১.৪৫ সীমান্ধ্র অঞ্চলের চার কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা।
সকাল ১১.০৫ তেলঙ্গনা এবং অন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে ঝামেলায় লোকসভা ও রাজ্যসভা বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল।
সকাল ১০.৩৫ লোকসভায় তেলঙ্গনা বিল পেশ নিয়ে কমল নাথ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের আলোচনা।
সকাল ১০.৩০ উপকূল অন্ধ্র এবং রায়ালসীমায় তেলঙ্গনা বিরোধী বনধে জনজীবন স্তব্ধ।

মমতার হয়ে প্রচারে নামবেন অণ্ণা
দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর পছন্দ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। পছন্দের নেত্রীর পাশে দাঁড়াতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মমতা এবং তৃণমূলের হয়ে তিনি প্রচারেও যাবেন বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন সমাজকর্মী অণ্ণা হজারে।
দুর্নীতিমুক্তি এবং লোকপাল বিলের পক্ষে টানা অনশন, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে উত্থান হওয়া অণ্ণার সঙ্গে মমতার এই নতুন ‘বন্ধুত্ব’-এর সূত্রপাত বেশ কিছু দিন আগে। আগে দু’জনের সম্পর্ক ‘মধুর’ না থাকলেও অণ্ণা কিন্তু সম্প্রতি মমতার সততার প্রশংসা করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মমতার সঙ্গে মুখোমুখি কথাও বলতে চাইছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আলাপচারিতাও চলছিল দিন কয়েক ধরে। এ বার অণ্ণার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে আগামী মঙ্গলবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সে দিনই দু’জনের বৈঠক হওয়ার কথা।
সামনাসামনি দেখা হওয়ার আগে অবশ্য বৃহস্পতিবার ফোনে প্রথম বার কথা হল অণ্ণা-মমতার। অণ্ণার খাসতালুক রালেগাঁও সিদ্ধিতে এ দিন মমতার দূত হিসেবে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায় এবং রাজ্যসভার আর এক সাংসদ কে ডি সিংহ। তাঁদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পরে মমতার স্বচ্ছতা, সততার প্রশংসা করে অণ্ণা বলেন, “মমতাজি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনও ১০ বাই ১২ ফুটের ঘরে থাকেন! সরকারি বাংলো ব্যবহার করেন না!” তিনি যে মমতার রাজনৈতিক ভাবাদর্শকে সমর্থন করেন, তা বোঝাতেই অণ্ণা বলেন, “স্বাধীনতার ৬৬ বছর পরেও দেশের আর্থিক ব্যবস্থা বদলানোর কথা কেউ বলেননি। কিন্তু মমতাজি সেটা ভেবেছেন। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে তিনিই উপযুক্ত।”
মুকুলবাবুদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতার সঙ্গে ফোনে কথা হয় অণ্ণার। তখনই মমতা অণ্ণাকে জানান, আগামী মঙ্গলবার তিনি দিল্লি গিয়ে দেখা করবেন তাঁর সঙ্গে। মুকুলবাবু বলেন, “মমতাদি এবং তৃণমূল যে ভাবে উন্নয়নের কাজ করছে, তার সমর্থনেই অণ্ণা গোটা দেশে প্রচার করবেন।” অণ্ণা নিজেই বলেছেন, এর আগে কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের মঞ্চে তিনি যাননি। মমতার হয়ে প্রচার দিয়ে তার সূচনা হবে।

ফের বাতিল প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ বয়কটের পথে বিরোধীরা
পরপর দু’সপ্তাহেই বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর-পর্ব। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে বিতর্ক চলাকালীন বিধানসভায় উপস্থিত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উপরন্তু, চলতি রেওয়াজ ভেঙে রাজ্য বাজেটের দিন তিনি জবাবি বক্তৃতা করবেন। সরকারের এই মনোভাবের কোনও পরিবর্তন না-হলে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি বক্তৃতা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে আগে বিধানসভার শেষ অধিবেশনে সরকার পক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতের পথেই হাঁটতে চলেছে বিরোধী শিবির।
বিধানসভায় রাজ্যপালের উপরে বিতর্কের শেষ দিনে সচরাচর মুখ্যমন্ত্রী জবাবি বক্তৃতা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক আগে বক্তা থাকেন বিরোধী দলনেতা। দীর্ঘ দিনের পরিষদীয় রীতি এটাই। কিন্তু এ বার প্রথমে উত্তরবঙ্গ এবং পরে বর্ধমান জেলা-সফরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভাষণের উপরে তিন দিনের বিতর্কে হাজির থাকতে পারবেন না বলে আগেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিরোধীদের তরফে অনুরোধ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত সোমবার বাজেটের দিনেই জবাবি ভাষণ দেবেন বলে যদি ঠিক হয়ে থাকে, তা হলে সে দিনই কিছু সময় বিরোধীদের জন্যও বরাদ্দ করা হোক। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিরোধীরা তাঁদের বক্তব্য পেশের সুযোগ পান। কিন্তু সেই আর্জিও খারিজ হয়ে গিয়েছে কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে। তার পরেই কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।

গাঁধীনগরে মোদী-পাওয়েল বৈঠক

দীর্ঘ ন’বছর পর নরেন্দ্র মোদী প্রশ্নে কি নমনীয় হল আমেরিকা? বৃহস্পতিবার সকালে মোদীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলের বৈঠকের পর সে রকমই ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মোদীর শর্ত মেনে বৃহস্পতিবার দিল্লির পরিবর্তে গাঁধীনগরে গিয়ে বৈঠক করেন পাওয়েল। বৈঠক শেষে পাওয়েল জানান, লোকসভা নির্বাচনে যে দলই সরকারে আসুক, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী আমেরিকা। ফলে নরেন্দ্র মোদী আগামী প্রধানমন্ত্রী হলে সাম্প্রতিক বিরোধিতা কাটিয়ে তাঁর সঙ্গেও যে কাজ করতে পিছপা হবে না আমেরিকা, তা স্পষ্ট। এ দিন ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে মোদীর গুজরাত মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করে সেখানে বিনিয়োগের রাস্তাও খোলা রাখল আমেরিকা।
গাঁধীনগরে মোদী-পাওয়েল বৈঠক। ছবি: পিটিআই।
গত দু’দশকে গুজরাতের উন্নতিতে মুগ্ধ পাওয়েল এ দিন বৈঠকে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা-সহ বহু বিষয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মানবাধিকার প্রসঙ্গ, তেমনই কথা হয়েছে এ দেশে মার্কিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়েও। ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ডের পর মোদী প্রশ্নে যথেষ্ট কড়া মনোভাব নিয়েছিল মার্কিন সরকার। এমনকী, মাকির্ন কংগ্রেসের একটি বড় অংশের আপত্তিতে ২০০৫-এ আমেরিকা সফরে মোদীকে ভিসা দিতেও রাজি হয়নি সে দেশের সরকার। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাত্ করে আমেরিকার এই নরম মনোভাবের তাত্পর্য যে যথেষ্টই রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে বিভিন্ন মহল।

শেষ হল সপ্তম আইপিএল-এর নিলাম
বেঙ্গালুরুতে শেষ হল সপ্তম আইপিএল-এর নিলাম প্রক্রিয়া। দু’দিনের নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হলেন যুবরাজ সিংহ। নিলাম হল মোট ১৬৪ জন ক্রিকেটারের। এ বার অপেক্ষা আইপিএল-এর চুড়ান্ত লড়াইয়ের। এক নজরে কোন দলে কোন ক্রিকেটার গেল—

নাম টাকা
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
সুরেশ রায়না
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
রবীন্দ্র জাডেজা
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৭.৫ কোটি
আর অশ্বিন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৫.৫ কোটি
ডোয়েন ব্রাভো
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৪ কোটি
ফ্যাফ দু’প্লেসি ৪.৫ কোটি
ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম ৩.২৫ কোটি
ডোয়েন স্মিথ ৪.৫ কোটি
আশিষ নেহরা ২ কোটি
মোহিত শর্মা ২ কোটি
স্যামুয়েল বদ্রী ৩০ লক্ষ
বেন হিলফেনহস ১ কোটি
ম্যাট হেনরি ৩০ লক্ষ
ঈশ্বর পাণ্ডে ১.৫ কোটি
জন হেস্টিংস ৫০ লক্ষ
মিঠুন মানহাস ৩০ লক্ষ
বাবা অপরাজিত ১০ লক্ষ
বিজয় শঙ্কর ১০ লক্ষ
রণিত মোরে ১০ লক্ষ
পবন নেগি ১০ লক্ষ
নাম টাকা
ডেভিড মিলার
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
মনন ভোরা
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৪ কোটি
বীরেন্দ্র সহবাগ ৩.২ কোটি
মিচেল জনসন ৬.৫ কোটি
জর্জ বেইলি ৩.২ কোটি
চেতেশ্বর পূজারা ১.৯ কোটি
শন মার্শ ২.২ কোটি
ঋদ্ধিমান সাহা ২.২ কোটি
তিসারা পেরেরা ১.৬ কোটি
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬ কোটি
লক্ষ্মীপতি বালাজি ১.৮ কোটি
পরবিন্দর আওয়ানা ৬৫ লক্ষ
ঋষি ধবন ৩ কোটি
বেয়রন হেন্ড্রিকস ১.৮ কোটি
গুরকিরত সিংহ ১.৩ কোটি
মুরলি কার্তিক ১ কোটি
সন্দীপ শর্মা ৮৫ লক্ষ
মণদীপ সিংহ ৮০ লক্ষ
অক্সর পটেল ৭৫ লক্ষ
পরবিন্দর আওয়ানা ৬৫ লক্ষ
শার্দুল ঠাকুর ২০ লক্ষ
অনুরিত সিংহ ২০ লক্ষ
শীবম শর্মা ১০ লক্ষ
কর্ণবীর সিংহ ১০ লক্ষ
নাম টাকা
গৌতম গম্ভীর
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
সুনীল নারিন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
জাক কালিস ৫.৫ কোটি
রবীন উথাপ্পা ৫ কোটি
ইউসুফ পাঠান ৩.২৫ কোটি
শাকিব আল হাসান ২.৮০ কোটি
পীযুস চাওলা ৪.২৫ কোটি
মর্নি মর্কেল ২.৮ কোটি
আর বিনয় কুমার ২.৮ কোটি
উমেশ যাদব ২.৬ কোটি
মণীশ পাণ্ডে ১.৭ কোটি
ক্রিস লিন ১.৩ কোটি
প্যাট কামিন্স ১ কোটি
রায়ান টেন দুশখাতে ১ কোটি
সুর্য কুমার যাদব ৭০ লক্ষ
আন্দ্রে রাসেল ৬০ লক্ষ
মনবিন্দর বিসলা ৬০ লক্ষ
কুলদীপ যাদব ৪০ লক্ষ
বীর প্রতাপ সিংহ ৪০ লক্ষ
দেবব্রত দাস ২০ লক্ষ
সায়ন মণ্ডল ১০ লক্ষ
নাম টাকা
রোহিত শর্মা
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
লাসিথ মালিঙ্গা
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
কিয়েরন পোলার্ড
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৭.৫ কোটি
হরভজন সিংহ
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৫.৫ কোটি
অম্বাতি রায়ুডু
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৪ কোটি
মাইকেল হাসি ৫ কোটি
জাহির খান ২.৬ কোটি
প্রজ্ঞান ওঝা ৩.২৫ কোটি
কোরি অ্যান্ডার্সন ৪.৫ কোটি
যশ হেজেলউড ৫০ লাক্ষ
আদিত্য তারে ১.৬ কোটি
জসপ্রিত বুমরা ১.২কোটি
জলজ সাক্সেনা ৯০ লক্ষ
ক্রিস মারে সান্তোকিয়া ৩০ লক্ষ
মার্চেন্ট ডি ল্যাং ৩০ লক্ষ
বেন ডাঙ্ক ২০ লক্ষ
সি গৌতম ২০ লক্ষ
পবন সুয়োল ১০ লক্ষ
অপুর্ব ওয়াংখেড়ে ১০ লক্ষ
সুশান্ত মারাঠে ১০ লক্ষ
শ্রেয়াস গোপাল ১০ লক্ষ
নাম টাকা
শেন ওয়াটসন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
জেমস ফকনার
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
আজিঙ্ক রাহানে
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৭.৫ কোটি
স্টুয়ার্ট বিনি
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৫.৫ কোটি
সঞ্জু স্যামসন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৪ কোটি
ব্র্যাড হজ ২.৪ কোটি
স্টিভেন স্মিথ ৪ কোটি
অভিষেক নায়ার ১ কোটি
বেন কাটিং ৮০ লক্ষ
কেন রিচার্ডসন ১ কোটি
টিম সাউদি ১.২ কোটি
রজত ভাটিয়া ১.৭ কোটি
ধবল কুলকার্নি ১.১ কোটি
করুন নায়ার ৭৫ লক্ষ
ইকবাল আবদুল্লা ৬৫ লক্ষ
উন্মুক্ত চন্দ ৬৫ লক্ষ
দীপক হুডা ৪০ লক্ষ
কেভন কুপার ৩০ লক্ষ
দিশান্ত ইয়াগনিক ৩০ লক্ষ
বিক্রমজিত মালিক ২০ লক্ষ
প্রীন তাম্বে ১০ লক্ষ
অঙ্কুশ বেইন ১০ লক্ষ
অমিত মিশ্র ১০ লক্ষ
অঙ্কিত শর্মা ১০ লক্ষ
রাহুল তেওয়াতিয়া ১০ লক্ষ
নাম টাকা
বিরাট কোহলি
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
ক্রিস গেইল
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
এবি ডে’ ভিলিয়ার্স
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৭.৫ কোটি
যুবরাজ সিংহ ১৪ কোটি
পার্থিব পটেল ১.৪ কোটি
অ্যালবি মর্কেল ২.৪ কোটি
মিচেল স্টার্ক ৫ কোটি
অশোক দিন্দা ১.৫ কোটি
মুথাইয়া মুরলিধরণ ১ কোটি
রবি রামপল ৯০ লক্ষ
নিক ম্যাডিসন ৫০ লক্ষ
বরুণ অ্যারন ২ কোটি
হার্শাল পটেল ৪০ লক্ষ
বিজয় জোল ৩০ লক্ষ
আবু নাচিম ৩০ লক্ষ
সাদাব জাকাতি ২০ লক্ষ
সচিন রানা ২০ লক্ষ
সন্দীপ ওয়ারিয়র ১০ লক্ষ
যুজবেন্দ্র চৌহান ১০ লক্ষ
তন্ময় মিশ্র ১০ লক্ষ
যোগেশ টাকাওয়ালা ১০ লক্ষ
নাম টাকা
শিখর ধবন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
১২.৫ কোটি
ডেল স্টেইন
(রেখে দেওয়া হয়েছে)
৯.৫ কোটি
ডেভিড ওয়ার্নার ৫.৫ কোটি
ডারেন স্যামি ৩.৫ কোটি
অমিত মিশ্র ৪.৭৫ কোটি
অ্যারন ফিঞ্চ ৪ কোটি
ইরফান পাঠান ২.৪ কোটি
ভুবনেশ্বর কুমার ৪.২৫ কোটি
ইশান্ত শর্মা ২.৬ কোটি
ব্রেন্ডন টেলর ৩০ লক্ষ
মোজেস এনরিকে ১ কোটি
বেনুগোপাল রাও ৫৫ লক্ষ
জেসন হোল্ডার ৭৫ লক্ষ
করণ শর্মা ৩.৭৫ কোটি
লোকেশ রাহুল ১ কোটি
পারভেজ রসুল ৯৫ লক্ষ
জেসন হোল্ডার ৭৫ লক্ষ
মনম ওঝা ৫০ লক্ষ
প্রশান্ত পরমেশ্বরণ ৩০ লক্ষ
ব্রেন্ডন টেলর ৩০ লক্ষ
আশিষ রেড্ডি ২০ লক্ষ
অমিত পাউনিকর ২০ লক্ষ
শ্রীকান্ত অনিরুদ্ধ ২০ লক্ষ
ছামা মিলিন্দ ১০ লক্ষ
মনপ্রীত জুনেজা ১০ লক্ষ
রিকি ভুই ১০ লক্ষ
নাম টাকা
মুরলি বিজয় ৫ কোটি
কেভিন পিটারসন ৯ কোটি
দীনেশ কার্তিক ১২.৫ কোটি
জে পি ডুমিনি ২.২ কোটি
মনোজ তিওয়ারি ২.৮ কোটি
কুইন্টন ডি’কক ৩.৫ কোটি
রাহুল শর্মা ১.৯ কোটি
মহম্মদ শামি ৪.২৫ কোটি
সৌরভ তিওয়ারি ৭০ লক্ষ
লক্ষীরতন শুক্ল ১.৫ কোটি
নাথান সি নীল ৪.২৫ কোটি
জয়দেব উনদকট ২.৮ কোটি
জেমস নিসাম ১ কোটি
কেদার যাদব ২ কোটি
রস টেলর ২ কোটি
মায়াঙ্ক অগ্রবাল ১০৬ কোটি
ওয়েন পার্নেল ১ কোটি
শাহবাজ নাদিম ৮৫ লক্ষ
সিদ্ধার্ত কল ৪৫ লক্ষ
রাহুল শুক্ল ৪০ লক্ষ
মিলিন্দ কুমার ১০ লক্ষ
এইচ শরথ ১০ লক্ষ
জয়ন্ত যাদব ১০ লক্ষ



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.