পুরপরিষেবা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও কিছু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুরুলিয়ার পথে নামল কংগ্রেস। বুধবার পুরুলিয়া শহর কংগ্রেসের তরফে মিছিল করে পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ সভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো, প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভা বিরোধী কাউন্সিলরদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তাঁদের কোনও মতামতই গুরুত্ব পায় না। দলের শহর কমিটির সভাপতি বিশ্বরূপ পট্টনায়কের অভিযোগ, “আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করছি যে শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহের জন্য মাটির নীচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। কিন্তু গ্রীষ্মে জলস্তর নেমে যায়। তা হলে কোথা থেকে জল আনা হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন না। আমরা এই মর্মে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।” একই সঙ্গে শহরের কিছু এলাকায় নিয়মিত সাফাই না করা, একাধিক রাস্তার বেহাল অবস্থা, রাস্তায় রাতে আলো না জ্বলা নিয়েও তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক অস্থায়ী কর্মচারী থাকা স্বত্ত্বেও রাজনৈতিক রঙ দেখে ফের অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। এ সব নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে বলেও কোনও লাভ হয় না বলে তাঁদের দাবি। |
পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিভাস দাস বলেন, “সাহেববাঁধে কচুরিপানা সাফাইয়ের কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। কিন্তু কখনও পুরোপুরি সাফ করা হয় না। ফলে কয়েক মাসের মধ্যে ফের পানায় ঢেকে যায় সাহেববাঁধ।” এই প্রেক্ষিতে ওই কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকটি রাস্তা নির্মাণের জন্য পুরসভাকে টাকা দিয়ে দেওয়া স্বত্ত্বেও পুরপ্রধান রাস্তাগুলি তৈরির জন্য কেন টেন্ডার ডাকছেন না, তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।
পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাহেববাঁধের সংস্কারের কাজ বর্তমানে আমরা করছি না। এই কাজ করছে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট। তবে আমরা ওই কাজের দেখভাল করছি। এ নিয়ে ওই দফতরই বলতে পারবে।” তিনি জানান, পাইপলাইন বসানো নিয়ে শীঘ্রই জানানো হবে। অল্প কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী ভাবে কাজে ঢুকলেও রাজনৈতিক রং দেখে তাঁদের নেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, “বোর্ড মিটিংয়ে সকলের বক্তব্যই শোনা হয়। কোনও এলাকা থেকে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ এলে সত্ত্বর সেখানে কাজ করা হয়।” |