টাটকা খবর
উত্তরকন্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠক, উন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ঘোষণা মমতার
উত্তরকন্যায় মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি গোটা রাজ্যের উন্নয়নে একগুচ্ছ সরকারি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে এই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসল। প্রশাসন শুধু যে নবান্নকেন্দ্রিক হবে না, এর আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া কামরাঙাগুড়িতে শাখা সচিবালয়ের উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী তেমনটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাকে বাস্তবে পরিণত করতে উত্তরকন্যায় এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ ওই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় আধ ঘণ্টার ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্য মন্ত্রিসভার ৩১ জন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভার অধিবেশন চলছে, তাই এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রিসভার সব সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই নবান্ন সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ অন্য আধিকারকেরাও ছিলেন।

মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
শর্তসাপেক্ষে কাটোয়ায় ১৬০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এনটিপিসি-কে সরকারের অধিকারে থাকা ৯৮ একর জমি দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের ৮৫ শতাংশই রাজ্যকে ব্যবহারের জন্য দিতে হবে।
রাজ্য পরিবহণ দফতরে ৩৭১৪টি পদে নতুন নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ১৮৫০টি পদ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
উত্তরবঙ্গের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের আলাদা ডিরেক্টরেট তৈরি করা হবে।
প্রথাগতের বাইরে থাকা ১৪০টি মাদ্রাসা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রকে প্রথানুগ করতে তাদের রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ডের আওতায় আনা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরকে পুরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
উত্তর দিনাজপুরে বন্ধ থাকা স্পিনিং মিলকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এখানকার কর্মীদের আপাতত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে আগুন
হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়াল স্টেশন চত্বরে। মঙ্গলবার ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বিকেল ৪.৫৫ মিনিটে হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার মিনিটখানেক আগে নজরে আসে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকের প্রথম কামরা জেনারেটর ভ্যানে আগুন লেগেছে। আগুনের জেরে স্টেশন চত্বর কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের বিভিন্ন কামরা খালি করে দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। ওই কামরাটিকে ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। অবশ্য দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি।

মালদহে লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১৬ বরযাত্রী
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে বরযাত্রীদের গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেলেন ১৬ জন। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ধুমাদিঘিতে জাতীয় সড়কের উপর। মৃতদের ১২ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁরা হলেন, রাজকুমার রাজবর (৪৫), গৌতম রাজবর (৪২), রঞ্জন রাজবর (৩০), সুনীল রাজবর (২০), গণেশ রাজবর (৫০), গোপীচন্দ্র রাজবর (১৩), সুভাষ রাম (৪০), মনসুর আলম (৩৫), অচিন রাজবর (৩৮), চঞ্চল রাজবর (২৮), সুভাষ রাজবর (৪৫) এবং সন্তোষ রাজবর (২৬)। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর বরযাত্রীদের গাড়ি।
সারা রাতের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পুরনো মালদহের রসিলাদহ থেকে এ দিন ভোরবেলা উত্তরদিনাজপুরের রসখোয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বরযাত্রীদের ওই গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি ১৬ জন যাত্রী নিয়ে ধুমাদিঘির কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি পাট বোঝাই লরিকে গিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি তিন জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে দু’জনের মৃত্যু হয়। বাকি এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কিছু সময়ের মধ্যে তিনিও মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুরনো মালদহের রসিলাদহের বাগানপাড়ার বাসিন্দা রাধা রামের সঙ্গে সোমবার রাতে বিয়ে হয় সত্যম রাজবরের। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার রসখোয়ায়। বিয়ে উপলক্ষে সত্যমের সঙ্গে বরযাত্রী এসেছিলেন মোট ৬২ জন। চারটি ছোট এবং একটি বড় গাড়িতে তাঁরা মালদহে এসেছিলেন। ভোর তিনটে নাগাদ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয় বলে পাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু চার দিক অন্ধকার থাকায় বরযাত্রীদের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন রাম পরিবারের লোকজন। বাকি গাড়িগুলি চলে গেলেও এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ রওনা দিয়েছিলেন এই ১৬ বরযাত্রী।
পাট বোঝাই এই লরির সঙ্গেই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের যে জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে চার লেনের রাস্তা রয়েছে। বরযাত্রীদের গাড়িটি যে লেন ধরে যাওয়ার কথা তার উল্টো লেন দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, বরযাত্রীদের গাড়ির চালক মনসুর আলম মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও পুলিশের দাবি। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছে।

ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

প্রসূতি মৃত্যু, রণক্ষেত্র বহরমপুর হাসপাতাল
এক প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে মঙ্গলবার সকালে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। মৃতের নাম হাসিবা বিবি (২২)। হাসপাতালের বেড থেকে একাধিক বার পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ। এই ঘটনায় ডাক্তার-সহ নার্স এবং আয়াদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের থেকে রেহাই পায়নি নবজাতকদের পরিচর্যার জন্য মাতৃসদনের একমাত্র ‘সিক নিও-নেটাল স্টেবিলিটি ইউনিট’টিও। সেখানকার দরজা ভেঙে কাচের টুকরো নবজাতকদের ‘ওয়ার্মার’-এর উপর গিয়ে পড়ে বলে হাসপাতালের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেহাই মেলেনি ‘সিক নিও-নেটাল স্টেবিলিটি ইউনিট’-এরও। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
গত রবিবার সকালে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ মাতৃসদনে ভর্তি হয়েছিলেন ইসলামপুর থানার গোয়াসের গজবাড়ার বাসিন্দা হাসিবা বিবি। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ তিনি বেড থেকে পড়ে যান বলে অভিযোগ। এমনিতেই প্রসূতিদের ভীষণ চাপ মাতৃসদনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’তিনটি বেডকে পাশাপাশি সাজিয়ে তাতে একসঙ্গে আট-দশ জন করে রোগীকে রাখা হয়। হাসিবা বিবি যে বেড থেকে ওই দিন পড়ে যান সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও ছয় প্রসূতিকে রাখা হয়েছিল। তিনি সে দিন এক বার নয় পর পর তিন বার বেড থেকে পড়ে যান বলে এ দিন ওই ঘরের অন্য রোগীরা জানিয়েছেন। প্রথম দু’বার পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে কর্তব্যরত নার্স-আয়ারা ফের বেডে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ বার পড়ে যাওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলেও তাঁকে মেঝে থেকে তোলা তো হয়ইনি, এমনকী ডাক্তারকেও খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাত এগারোটা নাগাদ ওই প্রসূতির মৃত্যু হলেও পরিবারের লোকেদের সে খবর দেওয়া হয় রাত প্রায় তিনটে নাগাদ। খবর শুনে মৃতার বাবা ওয়ার্ডের ভেতরে ঢুকতে চাইলে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে মারেন বলেও এ দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এখন ওই হাসপাতালেই চিকিত্সাধীন।
ভোরবেলা গ্রামের মানুষের কাছে হাসিবা বিবির মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই তাঁরা দলে দলে হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পৌনে ছ’টা নাগাদ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এর পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন। অঞ্জলি সরকার নামের এক সিস্টার ইনচার্জকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ কমব্যাট বাহিনী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা দশটা নাগাদ হাসিবা বিবির দেহ ময়নাতদন্ত না করিয়েই তাঁর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার-সহ নার্স এবং আয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে।

কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলনকারী নরেন্দ্র দাভলকর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে নোটিস দিল বম্বে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কেতল তিরোদকরের করা জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতি পি ভি হরদাস এই রায় দেন। কোনও চরম-ডানপন্থী হিন্দু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কি না সিবিআই তা খতিয়ে দেখবে। গত বছরের ২০ অগস্ট পুণেতে মহারাষ্ট্রের কুসংস্কার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কর্মী দাভলকরকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুণে পুলিশ। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও চরম-ডানপন্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দাভলকরকে কোনও ভয় দেখানো হচ্ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে। এই তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকারের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুণে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেতন তিরোদকর তাঁর জনস্বার্থ মামলায় ওই ঘটনার তদন্ত এনআইএ-কে দিয়ে করানোর দাবি করেছিলেন। কিন্তু এই ধরনের তদন্ত এইআইএ-র অধিকারের মধ্যে পড়ে না বলে এইআইএ আদালতে জানায়। আদালত তা-ই কেতন তিরোদকরকে তাঁর মূল আবেদনটি পরিবর্তন করে এনআইএ-র জায়গায় সিবিআইকে অন্তর্ভূক্ত করার অধিকারও দিয়েছে।

পৃথক তেলেঙ্গনার বিরোধিতা করায় দলের ছয় সাংসদকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস। জাতীয় কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গাঁধী এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনার্দন দ্বিবেদী। সব্বাম হরি, জি ভি হর্ষ কুমার, বি কিরণ কুমার, এল রাজাগোপাল, আর সমবশিবা রাও এবং এ সাইপ্রতাপ— এই ছয় জন সাংসদকে বহিষ্কার করে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডির প্রতি কড়া বার্তা দিল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার দীর্ঘ দিন ধরেই পৃথক তেলঙ্গনার বিরোধিতা করছেন। সব্বাম হরি এবং তাঁর অনুগামী কয়েক জন সাংসদ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। পৃথক তেলঙ্গনা হলে সব্বাম হরি আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। সাংবিধানিক জটিলতার আশঙ্কায় পৃথক তেলঙ্গনা তৈরির বিলটি রাজ্যসভার বদলে কয়েক দিনের মধ্যে প্রথমে লোকসভায় পেশ করা হবে। এর আগে বিলটি প্রথমে রাজ্যসভায় পেশ করার কথা ছিল।

কামারহাটিতে কারখানার গুদামে আগুন
কামারহাটিতে জুটমিলের মধ্যে একটি ডিটারজেন্ট কারখানার গুদামে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। মঙ্গলবার ভোরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দমকলের দশটি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে হাজির হয়। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন নিভলেও এর কারণ নিয়ে ধন্দে দমকল কর্মীরা।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, কামারহাটি চটকলের মধ্যে ওই ডিটারজেন্ট কোম্পানির গুদাম ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোট-বড় কোম্পানির গুদাম আছে। এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ চটকলের ১৯ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। তার পাশেই ছিল ওই ডিটারজেন্ট কোম্পানির গুদাম। সেখানে প্লাস্টিকের বালতি, মগ-সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাখা ছিল। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই গুদামে। খবর পেয়ে কামারহাটি ও আশপাশের দমকল কেন্দ্রের দশটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। প্রাথমিক ভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে অনুমান করা হলেও এর কারণ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন দমকল আধিকারিকেরা। অন্য দিকে, একটি চটকলের মধ্যে অসংখ্য গুদাম ভাড়া দেওয়া হলেও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ দমকলকর্মীদের। চটকল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ দিকে আগুন লাগার পর সংবাদমাধ্যমকে ওই চটকলের গেটে আটকে দেওয়া হয়। চটকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁরা কথা বলতে চাননি।

গন্ডারের হামলায় মৃত্যু
লোকালয়ে ঢুকে যাওয়া একটি গন্ডারের হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জখম হয়েছেন অনেকে। কাজিরাঙা জঙ্গলের কাছে মাজুলির পশুমারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর জানিয়েছে, কাজিরাঙা থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে গন্ডারটি। সেটির হামলায় বুয়া রাম নামে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এখন মাজুলির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে গন্ডারটি। তার সামনে পড়ে জখম হয়েছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা। বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছনোর পর গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.