নাকের বদলে নরুণ পেয়ে অখুশি জঙ্গিপুরবাসী। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, জঙ্গিপুর-হাওড়া একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের। কিন্তু তার পরিবর্তে ভোটের আগে, রবিবার সকালে জঙ্গিপুর রোড স্টেশন থেকে চালু হল কাটোয়া পর্যন্ত নেহাতই একটি ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এর ফলে স্বভাবতই রুষ্ট জঙ্গিপুরের মানুষ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সঙ্গে অসন্তুষ্ট এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও। নিজের হাতে এই ট্রেন চলাচলের সূচনা করলেও ট্রেনটিকে সরাসরি ‘অকেজো’ বলেন অভিজিতবাবু। তিনি সাফ জানান, ‘‘এই ট্রেন যাত্রীদের তেমন কোনও কাজে আসবে না।”
কংগ্রেস সাংসদ এ দিন দাবি করেন, “রেলের উচিত প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে উত্তরে নিমতিতা পর্যন্ত এবং অন্য দিকে হাওড়া পর্যন্ত বর্ধিত করা যাতে কিছুটা হলেও তা মানুষের কাজে আসে।’’ সেই সঙ্গে দাবি, ‘‘দেশের অনেক জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ধরানোর জন্য রেলের নিজস্ব যাত্রী বাস পরিষেবা চালু রয়েছে। জঙ্গিপুর থেকে লালগোলা অবধি এই ধরনের একটি রেল বাস চালু করা হলে যাত্রীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।’’ |
রবিবার ট্রেনের উদ্বোধনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনের নয়া ট্রেন চালুর অনুষ্ঠানে হাজির জেলা চেম্বার্স অব কমার্সের সহকারি সভাপতি শ্যামল সাহা বলেন, ‘‘রেল যোগাযোগের সুবিধা সেভাবে নেই বলেই ব্যবসা ও শিল্পে অনেকটাই পিছিয়ে জঙ্গিপুর। লোকসভা ভোটের আগে এই ট্রেন কার্যত ললিপপ ছাড়া কিছুই নয়।’’ জঙ্গিপুর পুরসভার কাউন্সিলার কংগ্রেসের বিকাশ নন্দও তাঁর ক্ষোভ লুকাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরের সঙ্গে কলকাতার রেল যোগাযোগ তেমন নেই। অথচ এখানে সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র , আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, ফুড পার্ক, একাধিক রাইস মিল, বিড়ি কারখানা। ফলে ট্রেন নিয়ে বঞ্চনাকে ভাল ভাবে নেননি মানুষ।’’ সরকারি আইনজীবী আফজাল উদ্দিন বলেন, ‘‘ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই ট্রেন চালু করা হয়েছে।’’ তৃণমুলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন , অবিলম্বে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকেই আপাতত হাওড়া পর্যন্ত বর্ধিত করা হোক।’’ অনুষ্ঠান শেষে মালদহের ডিআরএম রাজেশ আগরওয়াল অবশ্য পরে সাফ বলেন, ‘‘রেল বাস চালানোর যে প্রস্তাব অভিজিৎবাবু দিয়েছেন তা লাভজনক হবে না বলে চালানো যাবে না।” |