এক স্কুলশিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সোনারপুর থানা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ঠাকুরপকুর থেকে সোনারপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই শিক্ষিকার স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত স্কুলশিক্ষিকার নাম পল্লবী বিশ্বাস (৩০)। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ সোনারপুর থানা এলাকার ঘাসিয়াড়ায় শ্বশুরুবাড়ির শৌচালয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। পারিবারিক সমস্যার জেরে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের অনুমান। তাঁর স্বামী পৃথ্বীশ বিশ্বাসও স্কুলের শিক্ষক। পৃথ্বীশ এবং তাঁর বাবাকে আটক করা হয়েছে। সুরতহালের পরে মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় থানায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর ছয়েক আগে ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা পল্লবীদেবীর সঙ্গে সোনারপুরের পৃথ্বীশের বিয়ে হয়। বছরখানেক ধরে সাংসারিক অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তার জেরে মাস ছয়েক আগে পল্লবীদেবী বাপের বাড়ি চলে যান। মাস তিনেক আগে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। অবসাদের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। পল্লবীদেবীর অপমৃত্যুর খবর বাপের বাড়িতে পৌঁছলে বিকেলে সেখান থেকে ৫০-৬০ জন লোক সোনারপুর থানায় যান। শিক্ষিকার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মৃতদেহ তাঁদের না-দেখিয়েই ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে থানার আসবাবপত্র ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। পুলিশ তাঁদের থানার বাইরে বার করে দেয়। তার পরেও ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের এক অফিসারের সামনে সুরতহাল করার পরেই মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
|
বৌবাজারে ছুরিকাঘাতে আহত প্রোমোটারের মৃত্যু হল রবিবার। মৃত জ্ঞান মুরারকার বাড়ি বেহালায়। তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় অগ্রবালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত মাসের ১৬ তারিখে কপালিটোলা লেনের একটি বাড়ির প্রোমোটারি নিয়ে বচসার জেরে সঞ্জয় ছুরি মারে জ্ঞানকে। তাঁর পেটে গুরুতর আঘাত লাগে, হাতের একটি আঙুল কেটে যায়, গভীর ক্ষত হয় পায়ে। আহত হয়েছিলেন আরও দু’জন। পুলিশ জানায়, বৌবাজার থানার সামনে কপালিটোলা লেনে পুরনো একটি বাড়ি ভেঙে বহুতল হচ্ছে। ওই বাড়িতে সঞ্জয়দের মুদির দোকান। বহুতল হলে সঞ্জয় সেখানে দোকানের পাশাপশি টাকাও পাবে বলে চুক্তি হয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, চুক্তিমতো সঞ্জয়কে বেশ কিছু টাকা অগ্রিমও দেন জ্ঞান। কিন্তু সঞ্জয় আরও বেশি টাকা চায় এবং তাড়াতাড়ি দোকান তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানায়। জ্ঞান সঞ্জয়কে জানান, অত তাড়াতাড়ি দোকান করে দেওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়েই দু’পক্ষে বিবাদ চলছিল। গত ১৬ তারিখ ওই বহুতলের দোতলায় জ্ঞান নির্মাণকাজ পরিদর্শন করতে গেলে সঞ্জয় সেখানে হাজির হন। তার পরেই ওই ঘটনা।
|
সল্টলেকের বিডি মার্কেটের সামনে থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল। ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক জন প্রাতর্ভ্রমণকারী এক ব্যক্তিকে রিকশায় গা এলিয়ে বসে থাকতে দেখেন। তিনি কোনও রকম নড়াচড়া করছেন না দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানারও চেষ্টা চলছে। ওই এলাকার কয়েক জন, ওই ব্যক্তিকে রিকশাচালক বলে পুলিশকে জানালেও তাঁর সম্পর্কে বিশদে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। |