রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারকে হেনস্থার চেষ্টা এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগে উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। পরে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই দুই যুবকের নাম অনির্বাণ নন্দী এবং জয় দত্ত। তাঁদের বাড়ি বাগবাজার এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। রবিবারই তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু ডিআইজি-র স্তরের কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের হেনস্থার চেষ্টা করার মতো ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
এর আগে শ্যামপুকুর থানা এলাকায় কালীপুজোর রাতে শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করতে গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন ওই থানার পুলিশকর্মীরা। ওই ঘটনার কিছু দিন পরেই একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সামলাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন কালীঘাট ও আলিপুর থানার পুলিশকর্মীরা। মাস দুয়েক আগে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির মোড়ে এক মত্ত মহিলার হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন এক পুলিশ অফিসার।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে নিজের গাড়িতে ব্যারাকপুর থেকে কলকাতা ফিরছিলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ডিআইজি (ব্যারাকপুর) মনোজ বর্মা। শোভবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে পরে তাঁর গাড়ি। অভিযোগ, সিগন্যাল চালু হওয়ার পরে ডিআইজি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি ছোট গাড়ির। তা ঘিরেই শুরু হয় বচসা।
ডিআইজি-র নিরাপত্তারক্ষী প্রশান্ত নষ্কর শ্যামপুকুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে থাকা দুই যুবক গাড়ি থেকে নেমে ডিআইজি-র গাড়ির চালককে ধাক্কাধাক্কি এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই দুই যুবক তাঁকে মারধর করে বলে প্রশান্তবাবুর অভিযোগ।প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে মার খেতে দেখে তার প্রতিবাদ করেন গাড়িতে থাকা ডিআইজি মনোজ বর্মা। অভিযোগ, তাঁকেও হেনস্থার চেষ্টা করেন ওই অভিযুক্তরা। পরে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, মনোজ বর্মা পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে থাকার সময়ে দক্ষতার সঙ্গে মাওবাদী সমস্যার মোকাবিলা করেছিলেন। এর পরে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ডিআইজি (ব্যারাকপুর) পদে কর্মরত তিনি।
এ দিন ঘটনার পরে মনোজবাবুর সঙ্গে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। |