|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বুলবুলির বাচ্চা |
উঠোনের টবের একটা ক্রিসমাস ট্রিতে দু’টি বুলবুলি বাসা বেঁধে ছিল। কিছু দিন পরে মা-বুলবুলিটি তিনটি ডিম পেড়েছিল। প্রতিদিন সকালে ডিমগুলিকে দেখতাম। দু’সপ্তাহ পর দেখি তিনটি ডিম থেকে তিনটি বাচ্চা বেরিয়ে চুকচুক করছে। পরে মা-বুলবুলিটা যখন খাবার নিয়ে আসত, তখন পাতার আওয়াজ পেয়ে বাচ্চাগুলো মুখ খুলে চুকচুক করত। যখন মা-বুলবুলিটা থাকত না, তখন আমি গাছের পাতাগুলো হাত দিয়ে নাড়াতাম। তখন বাচ্চাগুলো মুখ খুলে চুকচুক করত। তারা ভাবত যে তাদের মা খাবার নিয়ে এসেছে। তার পর যখন ওরা কিছু খাবার পেত না, তখন ওরা মুখ বন্ধ করে দিত। কারণ, তাদের তখনও চোখ ফোটেনি। কয়েক সপ্তাহ পরে ওদের চোখ ফোটে ও গায়ে পালক এবং ডানা বের হয়। তখন সেই বুলবুলি পাখিগুলি গাছ থেকে একটু নেমে আবার ধুপ করে পড়ে যেত। কয়েক সপ্তাহ পর তাদের ডানা, ঝুঁটি ও পালক বের হয়।
সুলেখা কর্মকার। পঞ্চম শ্রেণি, বহুলা শশী স্মৃতি উচ্চতর বিদ্যালয় |
|
|
বাবুইয়ের বাসা |
সারা দিন নানা রকমের পাখি আমাদের বাগানে ঘুরে বেড়ায়। কখনও কখনও ওরা ঘরের ভেতরেও ঢুকে আসে। আমাদের দোতলার বারান্দায় মা একটা দড়ি খাটিয়ে রেখেছে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়ার জন্য। এক দিন সকালে উঠে দেখি দড়ি থেকে খানিকটা খড়কুটো ঝুলছে। কিছু বুঝলাম না, কে করেছে এটা। ওমা, স্কুল থেকে ফিরে দেখি একটা বাবুই পাখির বাসা দড়ি থেকে ঝুলছে। তখনও পুরোটা তৈরি হয়নি। ছেলে পাখিটা শুকনো ঘাসের লম্বা লম্বা টুকরো দিয়ে একটু একটু করে বাসাটা বুনছে আর মা-পাখিটা বারান্দার গ্রিলে বসে বসে দেখছে। দু’দিন পরে দেখি বাসাটা পুরো তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর মা-পাখিটা দুটো ডিম পেড়েছে। কী সুন্দর ছোট্ট সাদা সাদা ডিম!
দময়ন্তী ভট্টাচার্য। ষষ্ঠ শ্রেণি, কারমেল হাই স্কুল |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|