|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
‘সেই কথা বলো’ |
সত্তর দশকে কল্পনা বিশ্বাস কথোপকথন করেছিলেন তিন দিকপালের সঙ্গে— বিজন ভট্টাচার্য ঋত্বিক ঘটক সলিল চৌধুরী। তাঁরা শিল্পীজীবন, তাতে জড়ানো কমিউনিস্ট আন্দোলন, বিক্ষুব্ধ সময়, অসম সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে যে সব কথা বলেছিলেন, তারই সংকলন কনভারসেশন উইথ দ্য মায়েস্ত্রোস (কনটেক্সট রিগ্রুপ)। ঋত্বিক নিজেকে নিয়ে, নিজের ছবি নিয়ে যা লিখেছেন, বা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পত্রপত্রিকায়, তারই নির্বাচিত অংশ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন সুদীপ্ত চক্রবর্তী (আই স্ট্রোড মাই রোড/ মন্তাজ অব আ মাইন্ড, মনফকিরা, ১৯৫.০০)।
অ-কাহিনিচিত্রের বিশাল জগতে বিরাজ করে এগারো ধরনের ছবি, তবু তাদের একটি গোষ্ঠীভুক্ত করে রাখা হয়েছে, তার পৃষ্ঠপোষকতাও সীমিত। অথচ শিল্প হিসেবে এ জাতীয় ছবির নির্মাণ অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, এমনকী অনেক ক্ষেত্রে এর শিল্পমান কাহিনিচিত্রের চেয়েও উন্নত। এ নিয়েই লিখেছেন সুব্রত ঘোষ ভিন্ন ছবির সাত-সতেরো (সিগনেট, ২০০.০০)।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দশজন মানুষের নতুন চিন্তা বা ব্যতিক্রমী কাজ নিয়ে লেখার সংকলন সোমেশ্বর ভৌমিকের সিনেমা এবং কয়েকজন (এবং মুশায়েরা, ২০০.০০)। এঁদের কেউ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, কেউ-বা সিনেমার মুগ্ধ-মননশীল দর্শক তথা লেখক।
রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, অরুণ মুখোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু ‘ব্রাত্যজন’ নাট্যপত্রে। তারই সংকলন যে কথা বলোনি আগে/ এ বছর সেই কথা বলো (কালিন্দী ব্রাত্যজন, ২৫০.০০)। ‘পাঠক যদি এঁদের চিনে বঙ্গজীবনের গত পঞ্চাশ-ষাট বছরের ইতিহাস ও বাংলা থিয়েটারের অবস্থানটিকে শনাক্ত করতে পারেন তবেই আমাদের এই ভালোবাসা সার্থক হবে বলে মনে করব।’ ভূমিকা-য় জানিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি শুধু নাট্যচিন্তক নন, রঙ্গমঞ্চ ও চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক, শক্তিশালী নাট্যকারও। তাঁর সাম্প্রতিক দু’টি নাটক ‘সিনেমার মতো’ ও ‘আলতাফ গোমস্’ একত্র হয়ে বেরল আরও দুটি নাটক (দীপ, ১৫০.০০)। |
|
|
|
|
|