|
|
|
|
হলদিয়া প্রকল্পে উৎপাদন শুরু নয়া অর্থবর্ষেই |
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির খরচ বাড়ল সিইএসসি-র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ডলারে টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যয়ের বোঝা বেড়েছে সিইএসসি-র। কারণ সংস্থার বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। প্রকল্প গড়তে প্রতি মেগাওয়াটে বেশি লাগছে এক কোটি টাকার
|
সঞ্জীব গোয়েনকা।
—নিজস্ব চিত্র। |
কাছাকাছি। ফলে বাজার থেকে বাড়তি মূলধনও জোগাড় করতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থার চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েনকা এই কথা জানিয়ে বলেন, “টাকার দাম পড়ে যাওয়ার কারণে এখন আমাদের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি মেগাওয়াটে প্রায় ৬ কোটি টাকা। আগে যেখানে ওই অঙ্ক ছিল পাঁচ কোটি টাকার কাছাকাছি।” একই সঙ্গে অবশ্য তাঁর দাবি, প্রকল্পের খরচ বাড়লেও অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
এই মুহূর্তে সিইএসসি-র নতুন দু’টি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া এবং মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরাতে। যার মধ্যে হলদিয়ার ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি এ বছর নভেম্বর মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যাওয়ার কথা। আর সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে কলকাতা এবং হাওড়ার গ্রাহকদের জন্য। হলদিয়ার বিদ্যুৎ আসতে শুরু করলে স্বাভাবিক ভাবেই সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের মাসুল কিছুটা বাড়বে। কারণ শিল্পের নিয়ম অনুযায়ী নতুন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুতের দাম প্রথম দিকে একটু বেশি হয়। পরে তা কমতে থাকে। ফলে ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরে হলদিয়ার উৎপাদন শুরু হয়ে গেলে গ্রাহকদের কিছুটা বেশি দাম দিয়েই বিদ্যুৎ কিনতে হবে। মাসুল কতটা বাড়বে সেটা অবশ্য নির্ভর করবে রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরে। তবে সংস্থা সূত্রের খবর, সিইএসসি ইতিমধ্যেই চলতি আর্থিক বছরের জন্য তাদের সংশোধিত মাসুলের আবেদন কমিশনের কাছে জমা দিয়ে দিয়েছে।
গোয়েনকা এ দিন জানান, হলদিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করার সময়ে ডলার পিছু টাকা ঘোরাফেরা করছিল ৪৫-৪৬ অঙ্কের ঘরে। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে প্রতি ডলারে ৬৩ টাকার মতো।
মহারাষ্ট্রর চন্দ্রপুরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৬০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ১০০ কিনে নেবে তামিলনাড়ু রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। আরও ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে দু’টি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সিইএসসি-র কথা চলছে বলে জানান গোয়েনকা।
এর পাশাপাশি, তিনি এ দিন বলেন, “তামিলনাড়ুতে আমরা ১০.০৬ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলছি। এর জন্য প্রায় ৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে।” এর আগে সিইএসসি গুজরাতে ৯ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ এবং রাজস্থানে ২৫ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলেছে। |
|
|
|
|
|