সামনের পর্দায় তখন এক-একটা রহস্যের উদ্ঘাটন, আর তাতেই মুগ্ধ সায়েন্স সিটির স্পেস অডিটোরিয়াম। খুদে দর্শক তো বটেই, তাদের বাবা-মায়েদের চোখে-মুখেও রহস্যের রোমাঞ্চ মেশানো মুগ্ধতা। সম্প্রতি সায়েন্স সিটি স্পেস অডিটোরিয়ামে এমনই এক তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী হল।
তথ্যচিত্রের নাম, ‘গ্রিস সিক্রেট অফ দ্য পাস্ট’। চল্লিশ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে গ্রিস সভ্যতার বিকাশ। গ্রিসের প্রধান ভূমির ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে সান্টোরিনি দ্বীপ। ঐতিহাসিকেরা গ্রিস সভ্যতার বিকাশকে দেখানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন এই দ্বীপটিকে। অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট এই দ্বীপ ঘিরে গ্রিস সভ্যতার ইতিহাস ফুটে উঠেছে তথ্যচিত্রে। দেখানো হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রোঞ্জ যুগের অবসান এবং স্বর্ণ যুগ আসার কাহিনি।
আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভা ধ্বংস করে দিয়েছিল ব্রোঞ্জ সভ্যতাকে। এই তথ্যচিত্রটি দেখতে দেখতে মনে হবে, দর্শকেরা যেন ফিরে গিয়েছেন সেই ব্রোঞ্জ যুগে। লাভা আর সমুদ্রের উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে তাঁদের সামনে। ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় কেউ কেউ চোখ বন্ধ করলেন। চেঁচিয়ে উঠল প্রেক্ষাগৃহে বসে থাকা কচিকাঁচারা। ক্ষণিকের জন্য সকলেই ভুলে গিয়েছিলেন, এটা নেহাতই তথ্যচিত্র।
সায়েন্স সিটির অধিকর্তা অরিজিৎ দত্তচৌধুরী জানিয়েছেন, এটি দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় স্পেস থিয়েটার। তিনি জানান, আগামী ছ’মাস ধরে দেখানো হবে এই তথ্যচিত্রটি। রোজ থাকবে সাতটি করে শো। অধিকর্তা আরও জানিয়েছেন, গত বছর পরিচালক গ্রেগ ম্যাকগিলিভরের ‘অ্যাডভেঞ্চার ইন ওয়াইল্ড ক্যালিফোর্নিয়া’ তথ্যচিত্রটিও দেখানো হয়েছিল ৬ মাস ধরে। দর্শক এসেছিলেন দু’লক্ষেরও বেশি। অরিজিতবাবুর আশা, গ্রিস সভ্যতার বিকাশ নিয়ে এই নতুন তথ্যচিত্রটিও আগের মতো দর্শকদের মন কাড়বে। |