ডুলিতে করে কাঠের খুঁটি নামানোর সময়ে কাঠের খুঁটির একাংশ খনির দেওয়ালে ঠেসে যাওয়ায় ডুলিটি প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে থাকল। ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জের সাতগ্রাম এরিয়ার ইসিএলের জেকেনগর প্রজেক্টে।
খনি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ডুলিতে করে খনির নীচে ১২টি সার্পোটিং খুঁটি পাঠানো হচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই বাঁধন খুলে একটি খুঁটি ডুলির বাইরে বেরিয়ে খনির দেওয়ালের সঙ্গে আটকে যায়। এর ফলে খনিকর্মীদের ডুলির মাধ্যমে খনির নীচে নামানোর পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে রাতের শিফটে (পালি) কাজ করার জন্য প্রায় ত্রিশ জন কর্মী খনির নীচে ছিলেন। তাঁরা পাশের খনির উপরে উঠবার পথ দিয়ে ঘণ্টাখানেক পরে উপরে উঠে আসেন। এর পরে দুই খনিকর্মী খনিতে নামার আপৎকালীন রাস্তা দিয়ে নিচে নেমে সেফটি বেল্টের সাহায্যে খুঁটির বেরিয়ে যাওয়া অংশ কেটে বাদ দিয়ে ডুলি ওঠানামার পথ পরিষ্কার করেন।
২০০৯ সালে ৪ জন খনিকর্মীকে নিয়ে নীচে নামবার সময় বেশ কিছুটা উপর থেকে ডুলি মাটিতে আছড়ে পড়ে চার খনিকর্মী জখম হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে ১২ জন খনিকর্মীকে নিয়ে ভূগর্ভ থেকে উপরে উঠবার সময়ও ঘণ্টাখানেক আটকে ছিল ডুলি। এই ভাবে বারবার ডুলি নিয়ে গোলযোগ ধরা পড়ায় খনিকর্মীরা ক্ষুব্ধ। এ দিনের ঘটনার পরে খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নেই এই অভিযোগে খনি চত্বরে আইএনটিইউসি বিক্ষোভ দেখায়। আইএনটিইউসি নেতা বাবলু সিংহের অভিযোগ, “বারবার এমন ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এ দিন ডুলি করে খুঁটিগুলি নিচে নামানোর সময়ে কোনও সুপারভাইজার ছিলেন না।”
ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “এ দিনের ঘটনাটি বড় কিছু নয়। খনিকর্মীদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |